হাবিপ্রবির হলে ফিস্টে চরম অব্যবস্থাপনা, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা
হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে হল ভিত্তিক উন্নতমানের খাবার পরিবেশনে ছিল চরম অব্যবস্থাপনা । টোকেন দিতে দেরি, খাবার দিতে দেরি, নিয়ম না মানা, খাবারে খাসির রেজালা না থাকাসহ একাধিক অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা । এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে সমালোচনা।৫ আগস্ট মঙ্গলবার জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে হল ভিত্তিক উন্নতমানের খাবারের আয়োজন করা হয় ।একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, খাবারের টোকেন থাকার পরও তাদের সাথে খাবার না দিয়ে দুব্যর্বহার করা হয়েছে । অনেক শিক্ষার্থী টিউশনির কারণে তাদের টোকেন অন্য বন্ধুকে দিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু তাদের খাবার দেয়া হয়নি। জিয়া হলের হল সুপার সব কিছুতে শিক্ষার্থীদের মতামতকে উপেক্ষা করেন।নাসিম আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী লিখেন, ‘সময় অনেক আগায় গেছে। বাইরের দুনিয়া তো আরো বেশি। আপনাদের আরেকটু আপডেটেড হওয়া উচিত। এত অব্যবস্থাপনা আপনাদের কাছ থেকে কাম্য নয়। হল ফিস্টের টোকেনের জন্য একবার লাইনে দাঁড়াতে হয় , আর একবার খাবারের জন্য যুদ্ধ করতে হয়। আপনারা তো ফ্রি ত্রাণ বিতরণ করতেছেন না, ব্যবস্থাপনা ২০২৫ সালের মত হওয়া উচিত।’ক্ষোভ প্রকাশ করে সৃষ্টি সারাহ বর্মন নামে আরেক শিক্ষার্থী লিখেন, ‘হল ফেস্টে পরপর ২০২২ আর ২০২৪ এর বিজয় দিবস উপলক্ষে খাবার রান্না, পরিবেশন, ব্যবস্থাপনা খুব ভালো ছিল। তবে এবারেরটা নিয়ে এক্সপেকটেশন ছিলো অনেক বেশি। তবে খাবার খেয়ে আমি বুঝলাম না এটা আমি আসলে কার চল্লিশার খাবার খেলাম। খাবার গন্ধ হয়ে গেছে সব, কারণ রান্না করেছে গত রাত থেকে হয়তো। খাবার বেশিরভাগ ডাস্টবিন এ ফেলায় দিলাম, কষ্ট লাগতেছে কিছু করার নাই।’ভেটেরিনারি অনুষদের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবাইয়র আল ফুয়াদ বলেন, ‘২০০ এর অধিক শিক্ষার্থীর খাসির রেজালা না পাওয়ার অপ্রত্যাশিত এই ঘটনা অত্যন্ত বিব্রতকর। বিশেষ করে, ২৫ ব্যাচের জুনিয়র ছেলেরা এইবার প্রথম হল ফিস্ট খাচ্ছে, তারা যে উৎসাহ, উদ্দীপনা নিয়ে হল ফিস্টের জন্য এসেছিলো তারা অনেকে বাজে অভিজ্ঞতা নিয়ে ক্যাম্পাসের প্রথম হল ফিস্টের অংশীদার হলো।’এ বিষয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হলের হল সুপার অধ্যাপক ড. আবু খায়ের মো. মুক্তাদিরুল বারী চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। এর জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। ইতোমধ্যেই আমি বঞ্চিতদের লিস্ট করেছি তাদের জন্য বাকি খাসি জবাইয়ের ব্যবস্থা করেছি। তাদের খাসির মাংস ডাল ভাত খাওয়াবো। আমাদের গণনা অনুযায়ী ৩টা খাসি ছাড়াই হয়ে যাওয়ার কথা। তাই খাসি তিনটা জবাই করি নাই, অপচয় হতে পারে ভেবে। এর জন্য আবারো দুঃখ প্রকাশ করছি।’