• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ রাত ১১:৪৯:৩১ (17-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ রাত ১১:৪৯:৩১ (17-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

বছর পেড়োলেও জাজিরা পৌরসড়কে আলোকসজ্জা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি

জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি: বছর পেড়িয়ে গেলেও শরীয়তপুর জেলার জাজিরা পৌরসভার সড়কে আলোকসজ্জা প্রকল্প বাস্তবায়নের কজ শুরু হয়নি।জাজিরা পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের মার্চে পৌরসভার বিভিন্ন সড়কে ৭৫টি সড়কবাতি স্থাপনের প্রকল্প অনুমোদন হয়। প্রকল্পটির ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। এ প্রকল্পের দায়িত্ব পেয়েছে মেসার্স জেরিন ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাজিরা পৌরসভাটি "খ" শ্রেণি থেকে উন্নীত হয়ে "ক" শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।এমনও প্রশ্ন উঠেছে, এই শ্রেণি উন্নত হওয়ায় আসলে লাভ হয়েছে কার? পৌরবাসীর নাকি পৌরসভার কর্তৃপক্ষের। কারণ যেখানে পৌরসভাটি "খ" শ্রেণির থাকা অবস্থায় একটি সড়কবাতি স্থাপনের টেন্ডার অনুমোদন হয়েছে তার মেয়াদ শেষ পর্যায় হলেও বাস্তবায়ন হয়নি। অথচ পৌরসভাটি "ক" শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলরদের সম্মানি ও কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি ঠিকই বেড়েছে।সড়কবাতি স্থাপন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ পর্যায় হলেও  কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ না দেখে পৌরসভার বাসিন্দাদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ। তারা বলছেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে জাজিরা একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত। অথচ পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে সড়কবাতি না থাকায় রাত হলে আমাদের পৌরসভা এলাকা একটি ভূতুড়ে এলাকায় পরিণত হয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার একাধিক বাসিন্দা ক্ষোভ নিয়ে বলেন, সড়কবাতি স্থাপনের মত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হতে চললেও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ যদি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে একটু চাপ দিতো তাহলে সড়কবাতির কাজগুলো আরো আগেই হয়ে যেতো।এ বিষয়ে সড়কবাতি স্থাপন প্রকল্পের দায়িত্ব পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জেরিন ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী জাকির সরদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, গত বছর টেন্ডার হয়েছে। এই প্যাকেজে আরো দুটি কাজ আছে সেগুলো চলমান রয়েছে। কুরবানি ঈদের আগে সড়কবাতির কাজ শুরু করবো।সড়কবাতির কাজ শুরু না হওয়ার বিষয় জানার জন্য জাজিরা পৌরসভার মেয়র মো. ইদ্রিস মিয়াকে ফোন দিলে তিনি বারবার ফোনের সংযোগ কেটে দেন, কোন ফোন রিসিভ করেননি। এরপর তার হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করা হলেও তিনি তার কোন উত্তর দেননি।এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, সড়কবাতির কাজ পৌরসভার নিজস্ব কাজ। এখানে আমাদের কিছু করণীয় নাই, তারপরও আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো কি কারণে সড়কবাতির কাজ শুরু করা যায়নি। সড়কে বাতিগুলো লাগানো থাকলে পৌরবাসীর জন্য অনেক ভালো হতো।