• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ রাত ০২:৩৬:৪৭ (21-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ রাত ০২:৩৬:৪৭ (21-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

ভয়াল সিডরের তাণ্ডবের কথা ভুলেনি পাথরঘাটার মানুষ

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি: স্মরণকালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় সিডর আঘাত হানার ১৬ বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর রাতে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় উপকূলীয় জেলা বরগুনার পাথরঘাটা। ১৬ বছর পূর্ণ হলেও সিডরের তাণ্ডবের কথা ভুলেনি পাথরঘাটা মানুষ।সিডরের আঘাতে প্রাণ হারিয়েছে অনেক মানুষ। ১৬ বছরেও স্বাভাবিক হয়নি স্বজন ও সম্পদ হারানো মানুষের জীবন। ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত সাতটা ৩০ মিনিট । মহাবিপদ সংকেতের কথা শুনে আতঙ্কিত বরগুনার পাথরঘাটার  মানুষ। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে। সচেতন মানুষ যেতে শুরু করলো আশ্রয়কেন্দ্রে। তবে বেশিরভাগ মানুষই রয়ে গেলেন বাড়িতে। সিডরের ভয়াবহতা সম্পর্কে তারা কিছুই ধারণা করতে পারেননি। সিডরের আঘাত শুরু হলে উড়ে যায় ঘরবাড়ি। পাশাপাশি বাড়তে থাকে পানি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগরের সব পানি যেন যমদূতের মতো এসে মানুষগুলোকে ভাসিয়ে নিলো। মাত্র ১০ মিনিটের জলোচ্ছ্বাসে পাথরঘাটার ৩৯৪ জন মানুষ প্রাণ হারালো। ঝড়ের তাণ্ডবে পুরো এলাকা হয়ে যায় লণ্ডভণ্ড। সকালে উপকূলের মানুষ দেখতে পেলো কেয়ামতের আলামত।পাথরঘাটার পদ্মা গ্রামে সিডরে রাতে আশ্রয় কেন্দ্রে জন্ম নেয় একটি শিশু কন্যা তার নাম রাখা হয় সিডর বেবী মারিয়া। তার মা জাকিয়া বেগম বলেন, সিডরের রাতে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সময় যখন বাবার হাত থেকে আমি ছুটে যাই তখন বাঁচা-মরা নিয়ে আমার কোনো ভাবনাই ছিল না। একটাই চিন্তা ছিল পেটের বাচ্চাটার কী হবে। অনেক চিৎকার করেছি কিন্তু রাতে প্রচণ্ড বাতাসে কেউ শুনতে পায়নি। পরে আমার বাবাই আমাকে খুঁজে পায়। যখন আমাকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তখন পেটের ব্যথা আর সহ্য করতে পারছি না। পরে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা মাসহ কয়েকজন প্রতিবেশী নারীর সহায়তায় মারিয়ার জন্ম হয়। আমিসহ স্থানীয় অনেকেই তাদের আত্মীয়-স্বজন হারিয়েছে।পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান খান বলেন, এই ঝড় কেড়ে নিয়েছে পাথরঘাটার মানুষের সম্বল। কেড়ে নিয়েছে আপনজনদের। তাই এ ক্ষতি অপূরণীয়। সরকারি ও সহায়তাদানকারী সংস্থাগুলো সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করলে উপকূলবাসী স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে। একইসঙ্গে পরবর্তী ভয়াবহতার হাত থেকেও রক্ষা পাবে।