হাদির মৃত্যুতে তারকাদের আবেগঘন পোস্ট
বিনোদন ডেস্ক: ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোকাহত দেশ। তার মৃত্যুর খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেমে এসেছে আবেগ ও প্রতিবাদের জোয়ার। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের তারকারাও শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়ে নানা অনুভূতির কথা তুলে ধরছেন।অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাদির একটি ছবি শেয়ার করে লেখেন, শহীদ ওসমান বিন হাদি আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক হয়ে থাকবেন। তার এই পোস্ট দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে এবং বহু মানুষ এতে একাত্মতা প্রকাশ করেন।চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ হাদি ও তার শিশুপুত্রের একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’ তার এই কবিতার পঙ্ক্তি হাদির আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।নির্মাতা আশফাক নিপুন এক আবেগঘন পোস্টে লেখেন, ‘ওসমান হাদি, শান্তিতে ঘুমান। আল্লাহ আপনাকে জান্নাত দান করুন এবং আপনার পরিবার ও নবজাতককে শক্তি দিন।’ একই সঙ্গে তিনি লেখেন, হাদিকে হত্যা করা গেলেও তার শুরু করা লড়াই থামানো যাবে না এবং খুনিদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক শোক প্রকাশ করে লেখেন, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। নামটা মনে রেখো শহিদ, বীর শরীফ ওসমান হাদি।’ পরে এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি বাকস্বাধীনতা, ভিন্নমত ও মানুষের জীবনের মূল্য নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পোস্টের শেষে তিনি লেখেন, শরীফ ওসমান হাদি (১৯৯৩–ইনফিনিটি)।মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল শোক জানিয়ে বলেন, হাদির মৃত্যু মেনে নেওয়ার মতো নয়। তিনি তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে লেখেন, বিশেষ করে ছোট্ট শিশুটির জন্য শক্তি ও ধৈর্য কামনা করেন। পাশাপাশি তিনি এমন একটি ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন, যেখানে মানুষের জীবনের মূল্য সবার আগে গুরুত্ব পাবে।তরুণ অভিনেতা আরশ খান তার পোস্টে ক্ষমতা ও মানবজীবনের মূল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে লেখেন, একে একে নিভে যাওয়া এই মানুষগুলো সবাই কারও না কারও সন্তান ছিল। ক্ষমতা হয়তো জিততে পারে, কিন্তু পৃথিবীটাই যদি থেমে যায়, তবে কী অবশিষ্ট থাকবে এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি।উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনে নির্বাচনী প্রচারণার সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন শরীফ ওসমান হাদি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলেও টানা ছয় দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত নিভে যায় তার প্রতিবাদী কণ্ঠ।