• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ২রা আষাঢ় ১৪৩২ সকাল ১০:৫৪:৩৮ (16-Jun-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ২রা আষাঢ় ১৪৩২ সকাল ১০:৫৪:৩৮ (16-Jun-2025)
  • - ৩৩° সে:

মজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছে মেহেরপুরের নারী শ্রমিকরা

মেহেরপুর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের গাংনীতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নারীরা এগিয় গেলেও মজুরি বৈষম্যে আজও অবহেলিত। পিছিয়ে পড়া এই অঞ্চলের নারী শ্রমিকরা তাদের অধিকার ও ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।সন্তানদের পড়ালেখা অভাব-অনটন ও পরিবারের হাল ধরতেই নারীরা ইটভাটা, চাতাল ও ইমারত নিমার্ণ কাজ করে থাকেন। কিন্তু ইটভাটায় পুরুষের সাথে সমান কাজ করেন নারী শ্রমিকরা। কিন্তু মজুরি হিসেবে পুরুষের চেয়ে কম টাকা পান নারী শ্রমিকরা। একজন পুরুষ শ্রমিক যেখানে দিনে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পান, সেখানে একজন নারী পান মাত্র ৩০০ টাকা।এই সামান্য মজুরি দিয়ে তাদের পরিবারের মৌলিক চাহিদা ঠিকমতো মিটছে না। সন্তানদের অর্থের অভাবে পড়ালেখা করাতে পারছন না। অন্যদিকে বেশ কিছু চাতাল বন্ধ হয়ে গেছে এবং সরকারি সিদ্ধান্তে ইটভাটাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে নারী শ্রমিকরা কর্মসংস্থান হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন।ইট ভাটায় কাজ করতে আসা আফরোজা খাতুন নামের একজন নারী শ্রমিক জানান, খলা ঝাড়ু দেয়া, কাঁচা ইট খেপানোসহ বিভিন্ন কাজ করেন। দৈনিক মজুরি দেয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। একই কাজ করে তাদের থেকে সব সময় পুরুষরা বেশি মজুরি পাযন। এই মজুরি দিয়ে সংসার চালানোই কঠিন, ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করানোর সুযোগ আর হয় না।শাহেদা খাতুন নামের আরেক নারী শ্রমিক জানান, ভোরে উঠে রান্নার কাজ শেষ করে ইটভাটায় আসতে হয়। আর বাড়ি ফেরেন দুপুরে। তবুও এখানকার আয় দিয়ে সংসার চলে না। অনেক অসহায় মানুষ ইটভাটায় কাজকর্ম করে খায়। এখন শুনছেন ইটভাটা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই এই সামান্য আয়ের সুযোগটাও হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় আছেন তারা।মিজানুর রহমান নামের একজন শ্রমিক জানান, ‘আমরা ইট কাটি হাজারে ৮০০ টাকা। আমাদের ইট কাটার উপর নির্ভর করবে দৈনিক কত টাকা মজুরি হয়। আমাদের দৈনিক ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি হয়। তবে নারী শ্রমিকদের মজুরিটা একেবারেই কম হয়ে যায়।গাংনী মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাছিমা খাতুন বলেন, ‘নারী পুরুষের মজুরি বৈষম্য থাকা ঠিক না। বৈষম্য দূরীকরণে আমরা কাজ করছি। তাছাড়া আমরা নারীদের প্রতিটা অধিকার নিয়েই কাজ করছি।’