• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ রাত ০৯:৪৫:২৬ (20-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ রাত ০৯:৪৫:২৬ (20-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

বরিশালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রোগীদের ছুটতে হচ্ছে বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে

বরিশাল (উত্তর) প্রতিনিধি: দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবার প্রধান ভরসাস্থল বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল। তবে এ হাসপাতালের রেডিওলজি ও প্যাথলজি বিভাগের রোগ নির্ণয়ের অধিকাংশ যন্ত্র বিকল। মেয়াদোত্তীর্ণ কিছু যন্ত্র দ্বারা জোরাতালি দিয়ে চলছে সরকারি হাসপাতাল । একই অবস্থা দেখা গেছে নগরীর  জেনারেল হাসপাতালেরও। এতে করে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীদের। তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ছুটতে হচ্ছে আশপাশের ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে। গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।৩ সেপ্টেম্বর রোববার শেবাচিম হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে গিয়ে কথা হয় উজিরপুরের জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, হাসপাতালের পরীক্ষা-নিরীক্ষা মোটেই সন্তোষজনক নয়। তাই বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা করিয়েছেন। গৌরনদী উপজেলার আরেক রোগী নাছরিন বলেন, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মীরাই হাসপাতালে এসে ডাক্তাদের সাথে লিয়াজু করে এবং নানাভাবে বুঝিয়ে তারা রোগীদের নিয়ে যান ওইসব ডায়গনস্টিক সেন্টারে।শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের পাঁচটি আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনের তিনটিই অচল গত দুই-তিন বছর ধরে। বাকি দুটি মেশিন দিয়ে রোগীদের চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না।এক্স-রে বিভাগের ১৩টি মেশিনের মধ্যে বিকল আটটি। এ বিভাগের টেকনিশিয়ান বাবুল আক্তার জানান, পাঁচটি এক্স-রে মেশিন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। একমাত্র এমআরআই মেশিনটি ছয় বছর ধরে বিকল। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় মেশিনটি আর সচল হবে না। নতুন এমআরআই মেশিন দেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মন্ত্রণালয়ে কয়েক দফা চিঠি দিয়েছে।এদিকে হাসপাতালের দুটি সিটিস্ক্যান মেশিন অচল হওয়ায় আড়াই বছর সিটিস্ক্যান বন্ধ ছিল। ২০০৭ সালে স্থাপিত মেশিনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ২০ বছর আগে থেকে শেবাচিম হাসপাতালে বন্ধ ইকোকার্ডিওগ্রাম সেবা।ক্যাথল্যাব স্থাপন করা হয় ২০১৪ সালে। ক্যাথল্যাব বন্ধ থাকায় টানা তিন বছর এনজিওগ্রাম বন্ধ ছিল। টেকনিশিয়ান গোলাম মোস্তফা জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ মেশিনটি বারবার সার্ভিসিং করে সচল রাখতে হচ্ছে। ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত কোবাল্ট-৬০ মেশিনটি অচল চার বছর ধরে।হাসপাতালের ইনস্ট্রুমেন্ট কেয়ার টেকনোলজিস্ট মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রের যেগুলোর গ্যারান্টি মেয়াদ রয়েছে, সেগুলো মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে কোবাল্ট-৬০ ও এমআরআই মেশিন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন সিটিস্ক্যান, আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন কেনার জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হলেও কোন সুফল মিলছে না। নতুন এমআরআই মেশিন পাওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়েছে।এ বিষয়ে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, এমআরআই মেশিনের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রগুলো নতুন পেতে অথবা সচল করার জন্য মন্ত্রণালয়ে বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে।অন্যদিকে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালেরও একই অবস্থা। ভবনের ছাদ এবং দেয়াল চুইয়ে পানি প্রবেশ করায় গত সপ্তাহে বন্ধ হয়ে গেছে হাসপাতালটির রেডিওলজি বিভাগের এক্স-রে মেশিন। হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আবদুল জলিল জানান, এখানকার দুটি এক্স-রে মেশিনের ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনটি মাত্র তিন মাস চলে অচল হয়ে পড়েছে। এখন যা আছে, তাও বেশ পুরোনো। হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে উন্নতমানের অ্যানালাইজার (হরমোন পরীক্ষা) মেশিন নেই। এখানকার অপারেশন থিয়েটারও চলছে জোড়াতালি দিয়ে। আলট্রাসাউন্ড মেশিনটিও দীর্ঘদিন ধরে অচল।জানতে চাইলে জেনারেল হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, তারা এক্স-রে মেশিন, আলট্রাসাউন্ড মেশিন পেতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন।