বাকৃবিতে গরু পালন ও মাংস উৎপাদনে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব প্রযুক্তির প্রয়োগ বিষয়ক কর্মশালা
বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘বাংলাদেশে গরু পালন থেকে মাংস ভোক্তার টেবিল পর্যন্ত ৪র্থ শিল্পবিপ্লব (ফোর আই আর) প্রযুক্তির প্রয়োগ’ শীর্ষক উদ্বোধনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের কাজী ফজলুর রহিম ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ‘এপ্লিকেশন অব ফোর আই আর টেকনোলজিস ফ্রম ফার্ম টু ফর্ক ফর বিফ ক্যাটল ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই কর্মশালাটি হায়ার এডুকেশন অ্যাক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন প্রকল্পের অর্থায়নে এবং বাকৃবি পশুবিজ্ঞান বিভাগের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয়।কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পশুবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একে ফজলুল হক ভূইঁয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমীন এবং বাউরেস পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাম্মাদুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মো. মোখলেছুর রহমান। কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, পিএইচডি এবং এমএস পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাশেম। তিনি প্রকল্পের লক্ষ্য, গুরুত্ব ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে গরুর মাংস উৎপাদন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তি-যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডেটা অ্যানালিটিক্স ও ইন্টারনেট অব থিংস প্রয়োগ করা হবে। এর ফলে খামারিরা সঠিক তথ্যনির্ভর সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন এবং ভোক্তারা পণ্যের গুণমান ও উৎস সম্পর্কে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা পাবেন।বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. একে ফজলুল হক ভূইঁয়া বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক বাজার ব্যবস্থায় এই প্রকল্পটি অত্যন্ত সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যোগ। আমি আশা করি, প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল সদস্য নির্ধারিত সূচক ও পরিকল্পনা অনুযায়ী দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করবেন, যাতে প্রাণিসম্পদ খাতে স্বচ্ছতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। এই প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে বাকৃবি পরিবারের সদস্যরা ভবিষ্যতে দুধ ও ডিমের মতোই নিরাপদ ও মানসম্মত গরুর মাংস নিয়মিতভাবে ক্রয় করতে পারবেন।