ইবির সেই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত, তদন্তে কমিটি গঠন
ইবি প্রতিনিধি: শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি-সহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আনীত অভিযোগ তদন্তে চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।৫ জুলাই শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত দু’টি পৃথক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। তিনি জানান, ‘বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ওঠা আসা অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপাচার্য স্যার নিজেই তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।’বিজ্ঞপ্তি সূত্রে, বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি, অনাকাঙ্খিত ও অশ্লীল আচরণ, ক্লাস রুমে পোষাক ও শারীরিক গঠন নিয়ে কুরুচিপূর্ণ অশ্লীল মন্তব্য, হোয়াটসঅ্যাপ/ম্যাসেঞ্জার/ইমোর মাধ্যমে ভিডিও কলে নানাবিধ আপত্তিকর কথা বার্তা ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ জানিয়ে আবেদন করেছে। এ সংক্রান্ত সংবাদ বেশ কয়েকটি জাতীয়/ স্থানীয় পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই সহযোগী অধ্যাপক পদের চাকুরি থেকে ৫ জুলাই ২০২৫ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।এদিকে এ বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত পূর্বক রিপোর্ট পেশ করার জন্য আল-ফিকহ এন্ড 'ল' বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নাজিমুদ্দিনকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো.. ফকরুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. খোন্দকার আরিফা আক্তার এবং আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাকসুদা আক্তার।গঠিত কমিটিকে উপাচার্যের নিকট ২০ (বিশ) কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার জন্য অনুরোধ করা হয়।এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. নাজিমুদ্দিন বলেন, ‘আমি তদন্ত কমিটির চিঠি পেয়েছি। আগামী পরশুদিন (৭ জুলাই) অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে বসবো। যথাসময়ে রিপোর্ট প্রদান করবো ইনশাআল্লাহ।’