নানা সঙ্কটে ঐতিহ্য হারানোর শঙ্কায় চাটমোহরের শাঁখা শিল্প
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি: বিবাহিত হিন্দু নারীদের হাতে সাদা শাঁখা শুধু অলংকার নয়, একটি সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় পরিচয়ের প্রতীক। এক সময় এই শিল্পে মমতা, নিপুণতা আর সৃজনশীলতায় ভরপুর ছিল চাটমোহরের হান্ডিয়াল ও ডেফলচড়া এলাকার শাঁখারী পাড়া। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চোখে পড়ত শাঁখা তৈরির কাজের ব্যস্ততা।১০০ বছরের অধিক সময় ধরে বংশপরম্পরার এ পেশা ধরে রেখেছেন পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ডেফলচড়া শাঁখারী পাড়ার বাসিন্দারা। তবে আগে গ্রামের সবাই শাখা তৈরীর মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করলেও এখন টিকে আছে মাত্র ৩৪টি পরিবার। যারা এখনো তৈরী করছেন ধলা, যাচি, পাটি, মণিপুরী ভিআইপি-সহ নানা ধরনের শাঁখা।পুঁজি সংকট শাঁখা তৈরি কাঁচামালে দুষ্প্রাপ্যতা সহ নানা কারণে পুরনো এ শাঁখা শিল্পকে ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন কারিগররা। ফলে ঐতিহ্যবাহী শাখা শিল্পে বর্তমানে চরম দুর্দিন বিরাজ করছে।নানা সীমাবদ্ধতার পরেও এখানকার শাঁখা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। শাঁখা শিল্পের প্রধান উপকরণ সমুদ্রের বিশেষ প্রজাতির শঙ্খ, যা আসে ভারতের মাদ্রাজ ও শ্রীলংকা থেকে। সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া হলে এবং শঙ্খ আমদানি শুল্কমুক্ত করা হলে এই শিল্প আবারো ঘুরে দাঁড়াবে বলে মনে করেন কারিগররা।শাঁখা শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য ও এর আধুনিকায়নে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী অফিসার মুসা নাসের চৌধুরী। তিনি আরও জানান, তাদের ঋণ এবং প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।