• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বিকাল ০৩:০৮:১৫ (18-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বিকাল ০৩:০৮:১৫ (18-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

শীঘ্রই চালু হচ্ছে বিমানবন্দর-গাজীপুর প্রথম র‍্যাপিড ট্রানজিট, চলবে ১৩৭ এসি বাস

গাজীপুর (মহানগর) প্রতিনিধি: ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের মধ্যে গড়ে তোলা হচ্ছে দেশের প্রথম বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি করিডোর। বিশেষায়িত এ গণপরিবহনসেবা দিতে কেনা হচ্ছে ১৩৭টি ডিজেলচালিত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস।এজন্য ১৮ এপ্রিল নতুন করে দরপত্র আহ্বান করেছে ঢাকায় বিআরটি নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থা ‌ঢাকা বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানির কর্মকর্তারা আশা করছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিআরটি সেবার কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে। এর আগেও একবার বাস কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করেছিল বিআরটি কোম্পানি, যা পরে বাতিল হয়ে যায়।বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত যে বিআরটি নির্মাণ হচ্ছে, সেটি চিহ্নিত করা হয়েছে বিআরটি-৩ নামে। ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বিআরটি করিডোর নির্মাণে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা (এএফডি) ও গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ)। সব মিলিয়েং প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা।প্রকল্পটির মাধ্যমে ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার বিশেষায়িত বাস লেন, টঙ্গী সেতু পুনর্নির্মাণ করে ১০ লেনে উন্নীতকরণ, সাতটি ফ্লাইওভার, একটি বাস টার্মিনাল, ১১৩টি সংযোগ সড়ক, উচ্চ ক্ষমতার ড্রেনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে।প্রকল্পের কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকার সঙ্গে গাজীপুর, টঙ্গী ও উত্তরা এলাকায় দ্রুত, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব যাতয়াত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে বিআরটির মাধ্যমে। প্রকল্পটি ভূমিকা রাখবে ঢাকার যানজট নিরসনেও ২০১২ সালে অনুমোদিত বিআরটি প্রকল্পের কাজ মাঠ পর্যায়ে শুরু হয় ২০১৭ সালে। নির্মাণকাজে ধীরগতি ও একাধিক দুর্ঘটনার কারণে বিভিন্ন সময় সমালোচিত হয়েছে এ প্রকল্প। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও প্রকল্পটিকে ‘‌গলার কাঁটা’ হিসেবে একাধিকবার অভিহিত করেছেন।ঢাকা বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির তথ্য বলছে, ৩১ মার্চ পর্যন্ত নির্মাণকাজের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৯১ দশমিক ১৭ শতাংশ।অবশিষ্ট কাজ দ্রুত শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘‌বিআরটি করিডোরের বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। যেটুকু বাকি আছে তা ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে। বর্তমানে স্টেশনগুলোর ফিনিশিংয়ের কাজ চলছে।এ স্টেশনের সঙ্গে আবার অনেকগুলো বিষয় চলে আসে। লোকবল নিয়োগ, স্টেশন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ, অপারেটর নিয়োগের মতো কাজগুলো করতে হবে। সবকিছু আমরা পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে নিচ্ছি।