সৈয়দপুরে গোডাউন থেকে রেললাইন চুরি, রেলওয়ের কর্মকর্তা আটক
নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ে থানার প্রায় ১০০ মিটার দূরে রেললাইন চুরির ঘটনা ঘটেছে। এটি ঘটেছে সৈয়দপুর রেলওয়ে দপ্তরের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর (পথ) গোডাউন ঘর থেকে।এ ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বলছেন রেলওয়ে থানার পাশেই এমন চুরির ঘটনা ঘটায় রেল পুলিশরেও ইঙ্গিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ-উন-নবী বলেন, কে কার ঘরে বসে কী করছে এই বিষয়টি পুলিশ কীভাবে জানবে।চুরির অভিযোগে সৈয়দপুর রেলওয়ে দপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) সুলতান মৃধাকে (৫৮) রেলওয়ে পুলিশ আটক করেছে। ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে অজ্ঞাতনামা সাতজনসহ আটজনকে বিবাদী করে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানায় ১৯ জুন বৃহস্পতিবার রাতে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে পার্বতীপুর দপ্তরের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তহিদুল ইসলাম।থানায় দায়েরকৃত মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) রেলওয়ের মালামাল রাখার গুদাম ঘর। সেখানে রাখা বড় রেললাইন গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে কেটে ছোট ছোট করা হয়। এরপর দুটি পিকআপে করে ১৯ জুন বৃহস্পতিবার সকালে কাটা রেললাইন বাইরে পাচার করা হয়। চুরি যাওয়া মালামালের মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।অভিযোগ রয়েছে, চুরির এই ঘটনার সঙ্গে ওয়েম্যানের ১নং গ্যাংয়ের লোকজনও জড়িত। এই ১নং গ্যাংটি সবসময় গুদামঘর ও সৈয়দপুর স্টেশন চত্বরে অবস্থান করে।পরে ঘটনার খবর পৌঁছে যায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর (ট্রাক) কাছে। তারই নির্দেশনায় ১৯ জুন বৃহস্পতিবার রাতে সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী তহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। বাদী তার অভিযোগে বলেন, ২০ টুকরা কাটা রেললাইন ও গ্যাস সিলিন্ডার ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।মামলা দায়েরের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন সৈয়দপুর রেলওয়ের থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ-উন-নবী। এ মামলায় আটক সুলতান মৃধাকে ২০ জুন শুক্রবার নীলফামারী জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।