ভারত পুশইন করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় পঞ্চগড়ে: রাশেদ প্রধান

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান বলেছেন, দিল্লীর সেবাদাস ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার গদি হারিয়ে এবং বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাজ্য বানাতে না পেরে হিন্দুস্থান পুশইনের আশ্রয় নিয়েছে বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য পুশইনের মাধ্যমে ভারতীয় বিএসএফ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি ভারতীয় সন্ত্রাসীদের প্রবেশ করাচ্ছে বলে আমরা মনে করছি।২০ জুন শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় জেলা জাগপা আয়োজিত ঈদ পরবর্তী মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।জেলা জাগপার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরর উপস্থিত ছিলেন জেলা জাগপার সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার বিপ্লব, সিনিয়র সহসভাপতি মফিদার রহমান , সহসভাপতি সামুসজ্জামান নয়ন সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন পাটোয়ারী জেলা জাগপার আহ্বায়ক কামরুজ্জামান কুয়েত ,জেলা জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদত হোসেন প্রমুখ।রাশেদ প্রধান বলেন, বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল আওয়ামী লীগ ও ভারত কর্তৃক পূর্ব নির্ধারিত ছিল। গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিচার করতে হবে। দল হিসেবে সন্ত্রাসী অপরাজনৈতিক অশুভ শক্তি আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। ভারতীয় আগ্রাসন এবং আধিপত্যবাদকে রুখে দিতে হবে। দেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে পছন্দের জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে মুখিয়ে আছে সে কারণে উৎসবমুখর নির্বাচন ও লেভেল প্লেইং ফিল্ড নির্বাচন প্রয়োজন। তাই আমরা আশা করি আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে অবাধ ,সুষ্ঠু , গ্রহণযোগ্য এবং ভারতের প্রভাবমুক্ত।তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবে যারা প্রাণ হারিয়েছে সেই শহীদদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা দিল্রীর সেবাদাস ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের অপরাজনীতি থেকে মুক্ত হয়েছি। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জাতীয় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। বিলম্ব হলেও অন্তর্বর্তী সরকার প্রথমে এপ্রিল এবং পরবর্তীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে বৈঠকের পর রমজানের আগে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাস জাতীয় নির্বাচনের জন্য নির্ধারণ করেছে। যদিও ফেব্রুয়ারি মাসের কথা শর্ত সাপেক্ষে বলা হয়েছে। তবুও বিএনপি এবং অন্তর্বর্তী সরকারের মাঝে সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছিল সেখান থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছি। তবে বাংলাদেশের নিবার্চনের প্রস্তাবিত তারিখ দেশের বাইরে থেকে ঘোষণা করা এবং সরকার ও একটি দলের যৌথ বিবৃতি আমাদেরকে অবাক করেছে। যা নজিরবিহীন একটি ঘটনা। আমরা মনে করি এ ধরনের রাজনৈতিক, কূটনৈতিক প্রশাসনিক সংস্কৃতি সরকারকে বিতর্কিত করেছে।রাশেদ প্রধান আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আমাদের সমাজে ৪টি পেশার মানুষের নিরপেক্ষ হওয়া খুবই প্রয়োজন। তারা হলেন চিকিৎসক, সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিচারক। মানব দেহের রোগের জন্য যেমন ভালো চিকিৎসক প্রয়োজন, সমাজের রোগ নির্ধারণ এবং নিরপেক্ষভাবে তুলে ধরার জন্য তেমনি ভালো সাংবাদিক প্রয়োজন, আর অন্যায় প্রতিরোধ ও বিচারের জন্য প্রয়োজন ভালো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আর বিচারক। সমাজ আপনাদের কাছে ফ্যাসিস্ট হাসিনামুক্ত বাংলাদেশে নিরপেক্ষ এবং প্রকৃত সংবাদ আশা করে। আমি বিশ্বাস করি নতুন বাংলাদেশে আপনারা সেই ভূমিকা পালনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।তিনি বলেন, জাগপা আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক জেলাগুলোতে প্রচারণা কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে আমরা স্পষ্ট ভাষায় উচ্চারণ করতে চাই, নির্বাচনের পূর্বে প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মৌলিক সংস্কার হতে হবে।