• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ রাত ১০:১২:১৬ (20-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ রাত ১০:১২:১৬ (20-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

আশা জাগাচ্ছে হাওরে পপির মহিষের মডেল শেড ও বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট

বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: হাওর এলাকা মানেই চারদিকে পানি, মাঝখানে জনপদ। সেখানে সুবিধা ও অধিকার বঞ্চিত জনগণের জীবনযাপন বেশ কষ্টের। ঘনবসতি এখানকার একটি অন্যতম সমস্যা। বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন,  চিকিৎসা, শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা মোটের উপর বলতে গেলে নাগরিক ও মানবিক অধিকার থেকেও অনেকটাই বঞ্চিত এ জনপদের লোকজন। বর্ষাকালে অধিকাংশের পেশাই মাছ ধরা।তবে শুকনো মৌসুমে তারা গবাদি পশু গরু ও মহিষ পালন করেন। পানি আসা শুরু করলে এগুলো বিক্রি করা ছাড়া উপায় নেই। কারণ যেখানে নিজেদের বাসস্থান নিয়েই শঙ্কা। সেখানে গবাদি পশু রাখবে কোথায়। তাই বাধ্য হয়েই গরু ও  মহিষসহ গবাদি পশুগুলো সস্তায় বিক্রী করে দিতে হয়। তবে শুকনো মৌসুমে গবাদি পশুর মধ্যে মহিষ পালন করে অধিকাংশ পরিবার। বর্ষাকালে এই মহিষগুলোর উপযুক্ত বাসস্থান না থাকায় বিপাকে পড়েন তারা। আর এমনটি চিন্তা করেই কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার ছাতিরচর ইউনিয়নে মহিষ পালন ও তার বর্জ্য সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য প্রকল্প হাতে নিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পপি।ছাতিরচর ইউনিয়নে সর্বপ্রথম (SEP) সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রকল্পের আওতায় একজন পুরুষ খামারিকে মহিষের মডেল বাসস্থান ও আরেকজন মহিলা খামারিকে উৎপাদিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে মহিষের বর্জ্য দিয়ে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট তৈরিতে আর্থিক সহযোগিতা করেছে এই বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাটি। আর এই  প্রকল্প দুটিই এ অঞ্চলের প্রথম মহিষের মডেল শেড ও বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট।মহিলা খামারি বলেন, বর্ষা আসলে আমরা মহিষের বর্জ্যগুলো পানিতে ফেলে দিতাম। পপির এই সহযোগিতার জন্য তাদের মাধ্যমে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে বায়োগ্যাস প্ল্যান্টটি তৈরি করেছি। এখন আর রান্না বান্নার জন্য জ্বালানি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। গ্যাসের চুলা স্থাপন করায় বেশ সুবিধাই হয়েছে। তার এই প্রকল্পটি দেখে এলাকার অনেকেই বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপন করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। হাওরে প্রচন্ড বাতাস ও বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে জ্বালানী সংকট একটি বড় সমস্যা।এই প্রকল্পটির ম্যানেজার ডা. আসাদুল ইসলাম আসাদ বলেন, মডেল শেড ও বায়োগ্যাস প্ল্যান্টটি ছাতিরচর ইউনিয়নে প্রথম স্থাপন করা হলো। মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি।সম্প্রতি এই প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাবেক সচিব ড. নমিতা হালদার।