• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৫ই কার্তিক ১৪৩২ রাত ১১:৩১:৩৯ (20-Oct-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

লোহাগড়ায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে শোকজ

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি: নড়াইলের লোহাগড়ায় মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ৯০ জন গর্ভবতী নারী সরকারি বরাদ্দ হতে বঞ্চিত হওয়ায় লোহাগড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।গত ২৩ সেপ্টেম্বর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির সহকারী পরিচালক ফ্লোরা ইয়াসমিন এ চিঠি পাঠান।চিঠিতে বলা হয়, মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির দৃষ্টে দেখা যায় যে তালিকা ভুক্ত লোহাগড়া উপজেলায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জুলাই এবং আগস্ট মাসে অদ্যাবধি কোনো উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়নি। যা কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকে ব্যাহত করছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে জুলাই এবং আগস্ট মাসের উপকারভোগী ৯০ জন মহিলার মাতৃকালীন ভাতার আবেদনের সকল তথ্য হাতে পেলেও অনলাইনে আবেদন করেননি উপজেলার নির্ধারিত উদ্যোক্তা ও কম্পিউটার অপারেটর মোস্তফা কামাল নয়ন।জানতে চাইলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছা. শিরিনা খাতুন বলেন,‘চিঠি প্রাপ্তির পর গত ৫ অক্টোবর পরিচালক মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি বরাবর লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করেছি। উপকারভোগীদের ডাটা এন্ট্রির জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ডাটা এন্ট্রি না হওয়ায় লোহাগড়া উপজেলার প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার মিঠুন মৈত্রকে মুঠোফোনে অবহিত করেছি।’নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন উপকারভোগী জানিয়েছেন, মাতৃকালীন ভাতার আবেদন উপজেলায় নিয়ে গেলে নানারকম হয়রানির শিকার হতে হয় তাদের। এছাড়া সরকার নির্ধারিত ফি বাদেও অতিরিক্ত টাকা না দিলে উপজেলার উদ্যোক্তা ও কম্পিউটার অপারেটর নয়ন আবেদন ডাটা এন্ট্রি না করে ফেলে রাখেন।তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উদ্যোক্তা ও কম্পিউটার অপারেটর মোস্তফা কামাল নয়ন বলেছেন, ‘চলতি অর্থবছরের জুলাই এবং আগস্ট মাসে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিস থেকে আমাদেরকে বরাদ্দের বিষয়ে কোনো চিঠি দেয়নি। তাই উপকারভোগীদের আবেদন আমার কাছে থাকলেও ডাটা এন্ট্রি করা হয়নি।’তৎকালীন সময়ে উপজেলায় প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার মিঠুন মৈত্র সম্প্রতি বদলি হওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।