উপদেষ্টা শারমিনকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন রিয়া গোপের মা
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ শহরের নয়ামাটি এলাকার দীপক কুমার গোপ ও বিউটি ঘোষ দম্পতির একমাত্র ৭ বছরের শিশু কন্যা রিয়া গোপ গুলিতে নিহত হয়।৬ জুলাই রোববার দুপুরে নিহত রিয়া গোপের নারায়ণগঞ্জের বাড়িতে যান অন্তর্বর্তী সরকারের সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। এসময় উপদেষ্টাকে জড়িয়ে ধরে রিয়া গোপের মা বিউটি ঘোষ কান্নায় ভেঙে পড়েন, এতে সেখানে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রিয়া গ্রুপের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনার এক বছর পর গত পহলো জুলাই পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।ওই মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত বছরে ১৯ জুলাই নারায়ণগঞ্জ শহরের মন্ডলপাড়ায় ছাদে গুলিতে নিহত হয় রিয়াগোপ। ওই দিন বিকেল চারটার দিকে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ১৫০-২০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতকারী বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মিছিলকারীদের ওপর গুলি ও বোমা নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে তাদের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে গুরুতর আহত হয় রিয়া। ওই সময় সে নয়ামাটি এলাকার নিজ বাড়ির পাঁচতলা ছাদে খেলছিল। ওই অবস্থায় রিয়ার মাথায় গুলিটি লাগে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল (ভিক্টোরিয়া) ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বছরের ২৪ জুলাই মারা যান রিয়া।এরপর উপদেষ্টা সিদ্ধিরগঞ্জে আরেক শহীদ সুমাইয়া আক্তার সিমুর বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন।২০ বছরের গৃহিণী সুমাইয়া গত বছরের ২১ জুলাই তার আড়াই মাসের নবজাতক বাচ্চাকে খাটে শুয়ে রেখে বারান্দায় বের হন হেলিকপ্টার উড়ে যাওয়ার শব্দ শুনে । ওই সময় হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া গুলিতে তাৎক্ষণিক নিহত হন সুমাইয়া, সুমাইয়া সেই আড়াই মাসের শিশু সুয়াইবার বয়স এখন প্রায় এগারো মাস। মাতৃহারা সেই শিশু সন্তান সুইয়াইবার।পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, জুলাই আন্দোলনে যেসকল নারী ও শিশুরা নিহত হয়েছে তাদের হারিয়ে যেতে দিবে না। তাদের নিয়ে সংকলন করা হবে।এসময় তিনি বলেন, যারা শহীদ হয়েছে তাদের পূর্ণ হক যেটা রাষ্ট্র নিশ্চিত করেছে সেটা যেনো তারা ঠিক মতো পায় সেটা নিয়ে নারায়ণগঞ্জের ডিসি কাজ করছে। শহীদ এই নারীদের পরিবারগুলো কেমন আছে এবং তাদের সংকট গুলো কি সেটা আমি জানতে চাই। তিনি আরও বলেন, তার মন্ত্রণালয়ের অধিনে যতটুকু শক্তি আছে, রিসোর্স আছে সেগুলো আমি শহীদ মেয়েটির পরিবারের জন্য কাজে লাগাতে পারি এবং তাদের পরিবারের পাশে থেকে একটু এগিয়ে দিতে পারি সেটি নিয়ে কাজ করছি।