• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৬ই অগ্রহায়ণ ১৪৩২ রাত ০৮:৩৩:০৫ (20-Nov-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

নতুন পে-স্কেল নিয়ে সরকারকে সময় বেঁধে দিলো আন্দোলনকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাষ্ট্রায়ত্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পে-স্কেল আগামী নির্বাচিত সরকার বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে বিষয়টি ভালোভাবে নেননি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।তাই আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিয়ে আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন তারা। ফলে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে জটিলতাও তৈরি হয়েছে।উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির একটি বেসরকারি গণমাধ্যমকে বলেন, যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকারই পে কমিশন গঠন করেছে, তাই নতুন পে-স্কেলও এই সরকারকেই দিতে হবে। নভেম্বরের ৩০ তারিখের মধ্যে সুপারিশ জমা না পড়লে কমিশনের ওপর চাপ বাড়ানো হবে।পাশাপাশি বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহণেরও ইঙ্গিত দেন এই কর্মচারী নেতা। তবে একটি সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে আগামী সোমবার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে বৈঠকও করতে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।যদিও বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারই উদ্যোগ নিয়ে পে কমিশন গঠন করায় তাদেরও সদিচ্ছার ঘাটতি নেই বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে ২৪ নভেম্বরের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান।বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি খায়ের আহমেদ মজুমদার বলেন, নতুন পে স্কেলের দাবিতে সব কর্মচারী সংগঠনকে এক প্লাটফর্মে নিয়ে আসার জন্য আলোচনা চলমান। ইতোমধ্যে কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের নেতৃত্বে ১২ টি কর্মচারী সংগঠন এই দাবিতে আন্দোলনের জন্য জোটবদ্ধ হয়েছে। ‘এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের ছয়টি সংগঠন, ১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরাম, বাংলাদেশ কর্মচারী উন্নয়ন ফোরাম, ১৭-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী সমিতি, দপ্তরি কাম প্রহরীদের সংগঠন, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতি এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে এমপ্লয়ীজ লীগ।এছাড়া সরকারি গাড়িচালকদের কেন্দ্রীয় সংগঠন একাত্মতা প্রকাশ করেছে।’আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পে স্কেল কার্যকরের গেজেট না হলে কর্মবিরতির মতো কর্মসূচিতে যাবেন কর্মচারীরা, এমন ইঙ্গিত দিয়ে এই কর্মচারী নেতা বলেন, আমরা বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করছি। আমাদের দেয়া সময়সীমার মধ্যে যদি দাবি মানা না হয়, তাহলে দাবি আদায়ে যেকোনো কর্মসূচি দিতে পিছপা হব না।