কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুলকে ঘিরে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশে শিক্ষকদের প্রতিবাদ
কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুলকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা।২৫ নভেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ প্রতিবাদ জানিয়েছেন।সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক এ.কে.এম আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়মের তদন্ত চলমান থাকা সত্ত্বেও একটি স্বার্থান্বেষী মহল দীর্ঘদিনের সুনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে।১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুল বর্তমানে দিবা ও প্রভাতি দুই শিফটে ৯৮টি শাখার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। প্রায় ৬৫০০ শিক্ষার্থী এবং ১৬০ জন শিক্ষক–কর্মচারী নিয়ে বহু বছর ধরে বিদ্যালয়টি সুনামের সঙ্গে পাঠদান করে আসছে।বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন অনিয়ম, আর্থিক দুর্নীতি ও চারিত্রিক কেলেঙ্কারির অভিযোগের পর জেলা প্রশাসক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ২০২৪ সালে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। অভিযোগের তদন্ত চলাকালেই গত ৩ অক্টোবর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), জেলা শিক্ষা অফিসার ও ছয়জন সিনিয়র শিক্ষকের উপস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক এ কে এম আক্তার হোসেন স্বেচ্ছায় তার পদত্যাগপত্র জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেন। পরে ৮৩ নম্বর রেজুলেশনের মাধ্যমে তার পদত্যাগ সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।এরপর জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নুসরাত জাহানকে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।এর আগে শিক্ষার্থীরা পৃথকভাবে সাবেক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার এবং শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দপ্তরে জমা দেয়। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত তদন্ত কমিটি এখনও কাজ করে যাচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুসরাত জাহান বলেন, ‘একটি কুচক্রী ও স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপপ্রচার ছড়িয়ে বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্টের অপচেষ্টায় লিপ্ত। মনগড়া ও অসত্য তথ্য পরিবেশনকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।’