• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৬:৪৬:৩৮ (20-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৬:৪৬:৩৮ (20-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

মতলবে বিদ্যালয়ের জমি দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ

মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি: চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় বিদ্যালয়ের জমি দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ৬ নং লবাইরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ফলে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচির নির্মানের ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা।স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৯৯১ সালে স্কুলের অনুকুলে ৩৪ শতক জমি দান করে রেজিস্ট্রি করে দেয় স্থানীয়রা। পরে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্যদের অংশীদার শাহজাহান ও তার ভাইয়েরা বিদ্যালয়ের জায়গা জোড়পূর্বক দখল করে ভবন নির্মাণ করে বলে অভিযোগ করেছে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ। সম্প্রতি এ বিদ্যালয়ের সীমান প্রচীর নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু ঠিকাদার কাজ করতে গিয়ে বিপাকে পরেন। সিডিউল অনুযায়ী কাজ করতে গেলে তাকে বাধা দেয়া হয়।প্রধান শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে স্কুলের ৩ ফিট জায়গা দখল করে রেখেছেন স্থানীয় মো. শাহজাহান। সেখানে গাছপালা রোপন করে এবং রান্নাঘর তৈরি করে তিনি দখল করে রেখেছেন। পরে স্কুলের সীমানা প্রাচীর নির্মান কাজ শুরু হলে শাহজাহান ও তার ভাইয়েরা এতে বাধা প্রদান করে, ফলে সৃষ্টি হয় জটিলতার।এ বিষয়ে শাহজাহান জানান, বিদ্যালয়ের জায়গা আমরাই দান করেছি, এখন আমাদের প্রয়োজনে ব্যবহার করছি।অন্যদিকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. শাহজালাল বলেন, বিদ্যালয়ের জায়গা মাপজোখের সময় আমাকে জানানো হয়নি। তাই সীমানা প্রাচির কোথায় পড়েছে তা আমি সঠিক জানি না। তারপরও প্রধান শিক্ষককে বলে স্থানীয় প্রশাসন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন জানান, সীমানা প্রাচির নির্মাণের স্বার্থে স্কুলের জমির দখল ছাড়তে শাহজাহানকে বার বার বলা হলেও তিনি দখল ছাড়েননি। পরে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু হানিফকে ঘটনা জানালে তার পরামর্শে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরারবর অভিযোগ করা হয়।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান বলেন, ঘটনাটি তদারকি করার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বেলায়েত হোসেন জানান, আমি ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শাহজাহানকে তার গাছগুলো কাটার জন্য বলা হয়েছে। গাছ না কাটলে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে গাছ অপসারণ করে বিদ্যালয়ের জায়গা পুনরুদ্ধার করা হবে।