১৪তম কমওয়ার্ডে ১৩৪টি বিজ্ঞাপনী প্রচারণাকে সম্মাননা প্রদান
নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘১৪তম কমওয়ার্ড: এক্সিলেন্স ইন ক্রিয়েটিভ কমিউনিকেশন’-এ ১৩৪টি বিজ্ঞাপনী প্রচারণাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। ১৫ নভেম্বর শনিবার রাজধানীর লে মেরিডিয়ান হোটেলে ৩২টি ক্যাটেগরিতে এসব প্রচারণাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।এ বছর ২টি ক্যাম্পেইন গ্র্যান্ড প্রিক্স, ৮টি গোল্ড, ৩৯টি সিলভার এবং ৮৫টি ব্রোঞ্জ পুরস্কার অর্জন করে। এই বছর সম্মাননাটির জন্য ৮৭টি এজেন্সি, ব্র্যান্ড ও সংগঠনের পক্ষ থেকে মোট ১৪১১টি মনোনয়ন জমা পড়ে। ১ জুন ২০২৪ থেকে ১৫ আগস্ট ২০২৫-এর মধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত বিজ্ঞাপন গুলো মনোনয়ন প্রদান করে।গালা অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশের ক্রিয়েটিভ কমিউনিকেশন খাত আবারও প্রমাণ করেছে-পরিবর্তন, চ্যালেঞ্জ আর নতুন বাস্তবতার মধ্যেও আমাদের সৃজনশীলতা থেমে থাকে না। দেশের ব্র্যান্ড গুলো আজ নতুনভাবে ভাবছে এবং দর্শকের সঙ্গে নতুনভাবে কথা বলছে-কমওয়ার্ড সেই অগ্রগতিকেই উদ্যাপন করে।”ন্যায্য মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে এ বছরও ছিল কঠোর দুই-ধাপের জুরি পদ্ধতি। ১০টি শর্টলিস্টিং প্যানেল ও ১০টি গ্র্যান্ড জুরি প্যানেলে মোট ২৫০ জন অভিজ্ঞ জুরি সদস্য ক্যাম্পেইনগুলো মূল্যায়ন করেন।শিল্পের পরিবর্তনশীল ধারা মাথায় রেখে এ বছর কমওয়ার্ডে যুক্ত হয়েছে ৬টি নতুন ক্যাটাগরি-বি–টু–বি, বেস্ট আনপাবলিশড ওয়ার্ক, ক্যাম্পেইন ফর পজিটিভিটি, ক্রিয়েটিভ বিজনেস ট্রান্সফরমেশন, লং–টার্ম ব্র্যান্ড প্ল্যাটফর্ম, এবং লাক্সারি। এসব ক্যাটাগরি আধুনিক কমিউনিকেশনের নতুন দিক-ব্যবসায়িক উদ্ভাবন, দীর্ঘমেয়াদি ব্র্যান্ড–চিন্তা, পজিটিভ স্টোরিটেলিং, লাক্সারি ব্র্যান্ডিংসহ-শিল্পের পরিধি কিভাবে প্রসারিত হচ্ছে তা তুলে ধরে।উল্লেখযোগ্য বিজয়ীদের মধ্যে গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেড এবং ব্যাকপেজ পিআর তাদের ‘উইমেন অ্যাট দ্য সেন্টার অব সাসটেইনেবিলিটি’ ক্যাম্পেইনের জন্য সাসটেইনেবিলিটি ক্যাটাগরিতে ব্রোঞ্জ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে। ব্যাকপেজ পিআর-এর পরিকল্পিত এই ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়েছে গ্রামীণ ডানোন এর মিল্ক ফর স্কুল প্রোগ্রাম এবং শক্তি দই কাপ রিসাইক্লিং প্রকল্প, যাতে তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় গ্রামীণ নারী দুগ্ধ খামারি এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কর্মরত নারীরা মিল্ক ফর স্কুল প্রোগ্রাম ও শক্তি+ দই কাপ রিসাইক্লিং এই দুই প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও সার্কুলার অর্থনীতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।টানা তৃতীয়বারের মতো কমওয়ার্ডের সঙ্গে যৌথভাবে এ বছরও এফসিবি বিটপি ‘রেজা আলী ইন্ডিপেনডেন্ট স্পিরিট অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে। বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন শিল্পের পথিকৃৎ মরহুম রেজা আলীর স্মৃতিকে স্মরণ করে প্রদান করা এই সম্মাননায় স্বাধীনতা, সাহসী চিন্তা এবং নতুন দৃষ্টিভঙ্গিকে উৎসাহিত করে। ডোমেক্স বাংলাদেশের “নাক দিয়ে দেখুন” ক্যাম্পেইনের জন্য এফসিবি বিটপি এ বছর সম্মাননাটি পেয়েছে।গালা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিজ্ঞাপন শিল্পের দুই কিংবদন্তি মুনির আহমেদ খান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ চিফ, ইউনিট্রেন্ড লিমিটেড এবং জুলফিকার আহমেদকে, ডিরেক্টর, ইউনিট্রেন্ড লিমিটেড লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। তাদের দীর্ঘদিনের অবদান বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন শিল্পে দিকনির্দেশনা ও মানদণ্ড তৈরি করেছে।এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড-এর সৌজন্যে এবং ওয়ালটন গ্রুপের সঞ্চালনায় এই বছরের কমওয়ার্ড আয়োজিত হয়। বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের এই ফ্ল্যাগশিপ আয়োজনটি দেশের ক্রিয়েটিভ কমিউনিকেশন বা বিজ্ঞাপনী শিল্পের সবচেয়ে বড় উদ্যাপনগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত।২০০৯ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে কমওয়ার্ড আজ দেশের অন্যতম বিশ্বাসযোগ্য ক্রিয়েটিভ প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। শুধু পুরস্কার নয়-এটি শিল্পের মানোন্নয়ন, সৃজনশীলতার দিকনির্দেশনা এবং সাংস্কৃতিক স্টোরিটেলিংয়ের অগ্রযাত্রায় একটি শক্তিশালী অনুপ্রেরণা।দিনের শুরুতে একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয় ১৪তম কমিউনিকেশন সামিট ২০২৫, যাতে যোগ দেন দেশের শীর্ষ মার্কেটিং, ব্র্যান্ডিং, অ্যাডভার্টাইজিং এবং ক্রিয়েটিভ কমিউনিকেশন পেশাজীবীরা। এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল- “কেয়স, কালচার অ্যান্ড ক্রিয়েটিভিটি: রিইমাজিনিং দ্য কমিউনিকেশন ক্যানভাস।”এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড-এর সৌজন্যে এবং ওয়ালটন গ্রুপের সঞ্চালনায় কমিউনিকেশন সামিট ও কমওয়ার্ড ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়। সহযোগিতায় - কানস লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যাল অব ক্রিয়েটিভিটি। স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার - ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভার্টাইজিং অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ, এশিয়া মার্কেটিং ফেডারেশন, বিবিএফ সিএমও ক্লাব; নলেজ পার্টনার - মার্কেটিং সোসাইটি অব বাংলাদেশ; হসপিটালিটি পার্টনার - লে মেরিডিয়ান ঢাকা ; অফিশিয়াল ক্যারিয়ার পার্টনার - টার্কিশ এয়ারলাইন্স; পিআর পার্টনার - ব্যাকপেজ পিআর। কমিউনিকেশন সামিট ও কমওয়ার্ড ২০২৫ বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের উদ্যোগ।