• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ রাত ০৮:৫৪:৩৩ (20-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ রাত ০৮:৫৪:৩৩ (20-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

দুমকীতে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৬ মাসের বাচ্চা চুরির চেষ্টার অভিযোগ

দুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দুমকীতে ঘুমিয়ে থাকা ৬ মাস বয়সী জোহা নামের এক কন্যা শিশুকে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ইশরাত জাহান নুরুন্নাহার(৩২) নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার চরবয়েড়া গ্রামের জয়নাল খানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।শিশু জোহা উপজেলার আজিজ আহম্মেদ কলেজের অর্থনীতি বিষয়ের প্রভাষক মো. আল আমিনের দ্বিতীয় স্ত্রী মোসা. জোলেখার মেয়ে।শিশুর নানি বিউটি বেগম বলেন, ঘরের পেছনে রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এসময় সামনের দরজা খোলা পেয়ে বোরকা পরিহিত এক মহিলা ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত জোহাকে কোলে নেয়। এ ঘটনা টের পেয়ে আমার মেয়ে জোলেখা আক্তার চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন ছুটে  এসে পুলিশে খবর দেয়।এদিকে শিশুটির বাবা আল আমিন হাওলাদার জানান, ওই মহিলা আমার তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী। তার সাথে আমার কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই। সে আমার মাকে মেরেছে। এছাড়াও সে একজন অতি ধূর্ত, চরম মিথ্যাবাদী ও চরিত্রহীনা। কোর্টের মাধ্যমে তার সকল দেনাপাওনা পরিশোধ করেছি।তিনি আরও জানান, ‘প্রতি মাসে ব্যাংকের মাধ্যমে ছেলেদের ভরণ পোষণ দেই। মূলত তাকে তালাক দেয়ার পর থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে হয়রানি করতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছেন নুরুন্নাহার।’তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইশরাত জাহান নুরুন্নাহার বলেন, ‘আমার স্বামী আল-আমিন আমাকে মীমাংসার কথা বলে এ রাস্তায় নিয়ে এসেছেন।’ যদিও এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের সকল প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।ঘটনা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রাজাখালী গ্রামের আনোয়ার হোসেন খান ওরফে আয়নাল খানের মেয়ে ইশরাত জাহান নুরুন্নাহারের সাথে ২০০৯ সালে চরবয়েড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মাদ হাওলাদারের ছেলে আল আমিন হাওলাদারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। পরে বিভিন্ন কলহ ও তালাক দেয়াকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সাল থেকে এ যাবত ডজনখানেক মামলা হয়। এক পর্যায়ে আল আমিন হাওলাদার ২০২১ সালে মোসা. জোলেখা নামের অপর এক মহিলাকে বিয়ে করেন।এ সম্পর্কে দুমকী থানার এস আই দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আল আমিনের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেন, শিশু চুরি করতে নুরুন্নাহার ওই বাড়িতে গিয়েছেন। কিন্তু সেখানে তেমন একটা স্বাক্ষী সমেত পাইনি। তবে ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে।’