• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২৮শে আশ্বিন ১৪৩১ দুপুর ০১:০৩:১৩ (13-Oct-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২৮শে আশ্বিন ১৪৩১ দুপুর ০১:০৩:১৩ (13-Oct-2024)
  • - ৩৩° সে:

১৪ কোম্পানির চেয়ারম্যান-এমডিকে কমিশনে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘জেড’ ক্যাটাগরির ১৪টি কোম্পানির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও কোম্পানি সচিবকে তলব করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ঘোষিত লভ্যাংশ বিতরণ না করার কারণে কোম্পানিগুলোকে শুনানিতে ডাকা হয়েছে।আগামী ৬ অক্টোবর রোববার সকাল ১০টায় সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনের মিটিং রুমে এ শুনানী অনুষ্ঠিত হবে। বিএসইসির সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম অনুযাযী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমাপ্ত অর্থবছরে ঘোষিত লভ্যাংশের কমপক্ষে ৮০ ভাগ বিতরণ করতে হয়। কিন্তু এই ১৪ কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করলেও তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিতরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। যে কারণে গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে কোম্পানিগুলোকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। আগামীকালের শুনানীতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে কেন বিতরণ করা হয়নি, তার ব্যাখ্যা জানবে কমিশন। একইসঙ্গে কোম্পানিগুলোকে দ্রুত লভ্যাংশ বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হবে। এরপরেও যদি কোম্পানিগুলো শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদানে ব্যর্থ হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি পর্ষদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে কমিশন।এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এশিয়ার টিভি অনলাইনকে বলেন, পুঁজিবাজারের ১৪ কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করলেও তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিতরণ করতে পারেনি। পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এ ১৪ কোম্পানির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও কোম্পানি সচিবকে সকাল ১০টায় ডাকা হয়েছে এবং কেন লভ্যাংশ বিতরণ করা হয়নি তার সাপোর্টিং পেপারসহ ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য কমিশন থেকে বলা হয়েছে। আগামীকাল তাদের ব্যাখ্যা শুনার পর দ্রুত লভ্যাংশ বিতরণ করে ক্যাটাগরি পরিবর্তনের জন্য মৌখিক নির্দেশ দেয়া হবে। যারা বিতরণ করতে পারবে না তাদেরকে বিধি মোতাবেক শাস্তির আওতায় আনা হবে।তিনি আরও বলেন, বর্তমান কমিশন পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও গভর্ন্যান্সের বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে, সেখানে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সবার আগে দেখা হবে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষাতে বাজারের গভর্ন্যান্স,স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা সকল প্রতিষ্ঠানে নিশ্চিত করা হবে। কমিশন মনে করে এর মাধ্যমে আগামীতে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমুলক পুঁজিবাজার আমরা দেখতে পাবো। আগামীতে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নে পুঁজিবাজারে আমাদের উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে পারে সেই পথ আরও প্রশস্ত করা হবে, আমরা আশাবাদি আগামীতে আরো ভালো একটি পুঁজিবাজার দেখতে পাবো।সম্প্রতি সময়ে কিছু কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করলেও তা সঠিক সময়ে বিতরণ করেনি, এমন কোম্পানি বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে নতুন কমিশন। এছাড়া এই কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে নানা পদক্ষেপ হাতে নিচ্ছে। শেয়ার কারসাজির দায়ে আলোচিত কয়েক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাসহ তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো যেন অনিয়ম করে পার পেয়ে না যায়, তার জন্য বেশ কিছু কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নতুন কমিশন।কোম্পানিগুলো হলো হচ্ছে- লুব-রেফ বাংলাদেশ লিমিটেড, এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ভিএফএস থ্রেড ডাইং লিমিটেড, ফরচুন সুজ লিমিটেড, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেড, দেশ গার্মেন্টস লিমিটেড, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বিচ হ্যাচারি লিমিটেড, অ্যাডভেন্ট ফার্মা লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, লিবরা ইনফিউশন লিমিটেড, প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেড এবং ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।