• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ রাত ১১:১১:৪৫ (20-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ রাত ১১:১১:৪৫ (20-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

মতলব উত্তরে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ফুলের দোকানে উপচে পড়া ভীড়

মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি: একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চাঁদপুরের মতলব উত্তরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত হাজারো মানুষ। প্রতি বছরের মতো এবছরও সরগরম হয়ে উঠেছে ছেংগারচর বাজার, নতুন বাজার, আমিরাবাদ বাজার, কালিপুর বাজার। তবে এবার দামের উত্তাপটা একটু বেশিই মনে হয়েছে অন্যান্য বছরের তুলনায়।২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সরজমিনে বিকেলে ফুলেরবাজারে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস এবং পহেলা ফাগুনের এক সপ্তাহের পর আসছে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।প্রতি বছরের মতো এবছরও এসব উপলক্ষকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে ফুলেরবাজার। তবে এবার দামের উত্তাপটা একটু বেশিই অন্যান্য বছরের তুলনায়। নানা ধরনের ফুলের সমারোহ। ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়ে হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারা বানিয়ে নিচ্ছেন ফুলের ডালা, তোড়া, কেউ কিনছেন ফুল।সব মিলিয়ে চাঙা মতলব উত্তরে ছেংগারচরে অন্যতম ফুলের এ বাজার। দোকানের পাশাপাশি রাস্তায় বসেও ফুলের ডালা, তোড়া বানাতে ব্যস্ত কারিগররা। বাজারের কলেজ রোড এখন ফুলময়। কথা হয় ভ্রাম্যমাণ পুস্পালয়ের দোকানি জিহাদের সঙ্গে।তিনি বলেন, ব্যক্তিগত ক্রেতার চেয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোম্পানির লোকজন বেশি ফুল কিনছেন। তারা শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে ফুলের ডালা নিয়ে যাচ্ছেন, অনেকে অর্ডার দেন সকালের জন্য। সে অনুযায়ী কারিগররা ব্যস্ত ফুলের ডালা, তোড়া তৈরিতে।ফুল ধরে ধরে দাম জানিয়ে আরেক ব্যবসায়ী মো. নাজমুল বলেন, গত বছর ছেংগারচর বাজারে গোলাপ সবচেয়ে ভালোটার দাম ছিল ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। সেটা এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। গাদা ফুলের মালা গত বছর ছিলো ৭০ টাকা। সেটা এবার ১০০ টাকা। অর্থাৎ সব ফুলের দাম গত বছরের তুলনায় প্রায় দেঁড়গুণ।পাশের আরেক ভ্রাম্যমাণ ফুল ব্যবসায়ী নুরনবী বলেন, ফুল বিক্রির চাপ পড়ে সন্ধ্যার পর। ফুল, বাঁশের চাটাই আর শোলায় তৈরি হচ্ছে ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের তোড়া। এবার বেশি দামে ফুল কিনতে হয়েছে, তাই একটু রকম ভেদে ৭০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা বেশি দামে তোড়া বিক্রি করতে হচ্ছে।ফুলের তোড়া তৈরিতে নিয়োজিত বাবু আর্ট এর মালিক মো. জহিরুল ইসলাম বাবু ও চিত্র আর্ট’র মালিক মো. আনোয়ার মুফতি বলেন, প্রতি বছর এ সময়ে দোকানদাররা পুরো বছরের ব্যবসা করেন। সে কারণে কাজের চাপও বেশি। সকাল থেকে টানা তোড়ার কাজ করছি। এত কাজের চাপ যে কথা বলার সময়ও পাচ্ছি না।তিনি বলেন, ডিজাইন ও আকারভেদে ১৫শ টাকা থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে ফুলের তোড়া বা ডালা বিক্রি হচ্ছে।ফুলের তোড়া কিনতে এসেছেন সানসাইন একাডেমির সিনিয়র শিক্ষক মো. জনি সরকার।তিনি বলেন, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্কুলের পক্ষ থেকে ফুল নিয়ে শহীদ মিনারে যাব, সে লক্ষ্যেই ফুলের তোড়া কিনতে আসা। দোকানিরা দাম চাচ্ছেন অতিরিক্ত। এরই মধ্যে দরদাম করে এক হাজার পাঁচ শত টাকায় একটা তোড়া কিনেছি।জাতীয় মানবাধিকার সমিতি মতলব উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক ও মতলব উত্তর সাহিত্য পরিষদের মহাসচিব কবি নুর মোহাম্মদ খান বলেন, এবার ফুলের তোড়ার দাম অনেক বেশি। মাঝারি আকারের তোড়া তৈরি করে নিলাম ২ হাজার টাকা দিয়ে। এবার ফুলের দাম তুলনামূলক চড়া।তিনি আরও বলেন, ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা এক মিনিটে স্থির। শুরু হবে রাতের প্রথম প্রহর। একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে উদযাপনে সবাই ছুটবেন শহীদ মিনারে। শিশু-কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নানা বয়সী মানুষের হাতে শোভা পাবে গুচ্ছ গুচ্ছ ফুল। দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি ফুলেল শুভেচ্ছা জানাবেন সবাই। বীর সেনাদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুলে ফুলে ভরে যাবে প্রতিটি শহীদ মিনার।