বিকেলে প্রধান বিচারপতি বিদায়ী অভিভাষণ দেবেন
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ দেশের জেলা আদালতসমূহে কর্মরত উচ্চপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বিদায়ী অভিভাষণ দেবেন।আজ ১৪ ডিসেম্বর রোববার বিকেল ৩টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে এ অভিভাষণ প্রদান করবেন তিনি। এরপর আগামী ২৭ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ অবসরে যাবেন।এর আগে, গত ২৭ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এ সংক্রান্ত তথ্য জানায়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে দেশের জেলা আদালতগুলোতে কর্মরত উচ্চপর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। ওই অধিবেশনে দেশের সব জেলা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে বিদায়ী অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি।২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেন ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। ওই বছরের ১১ আগস্ট তিনি প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ যুক্তরাজ্যের বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াডাম কলেজ থেকে প্রথম শ্রেণিতে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের টাফ্টস ইউনিভার্সিটির ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি থেকে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে কাজ করেছেন।ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ ১৯৮৪ সালে ঢাকা জেলা আদালতে এবং ১৯৮৬ সালে হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত হন এবং দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পান।ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বাংলাদেশের প্রথিতযশা আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার ইশতিয়াক আহমেদ এবং ভাষাসৈনিক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. সুফিয়া আহমেদের সন্তান। ব্যারিস্টার ইশতিয়াক আহমেদ দুইবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ড. সুফিয়া আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নারী অধ্যাপক।