রাঙামাটিতে আবাসিক হোটেল থেকে পতিতাসহ আটক ৫
রাঙামাটি প্রতিনিধি: দেশের অন্যতম পর্যটন শহর রাঙামাটির কিছু আবাসিক হোটেলে সম্প্রতি অসামাজিক কার্যকলাপ বেড়ে যাওয়ার অভিযোগে পরিচালিত পুলিশি অভিযানে পতিতাসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।স্থানীয় সূত্র ও পুলিশের তথ্যানুসারে, একটি দালাল চক্র দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যৌনপেশায় নিয়োজিত নারীদের এনে শহরের বিভিন্ন হোটেলে অবৈধভাবে পতিতাবৃত্তি চালিয়ে আসছিল। চক্রটিকে ধরতে টানা দুই দিনের অভিযানে রাঙামাটির রিজার্ভ বাজার এলাকার তিনটি হোটেলে এসব কার্যকলাপের প্রমাণ মেলে।৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে হোটেল আরজু বোর্ডিং থেকে ৬ জন এবং ৭ নভেম্বর শুক্রবার রাতে হোটেল জেরিন ও হোটেল পাহাড়িকা থেকে ৫ নারী-পুরুষকে আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।আটকরা হলেন— চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার বাসিন্দা সামছুন নাহার (২৯) ও মো. আলমগীর (৪০); রাউজানের বাসিন্দা দীপক বড়ুয়া (৩৫), কুমিল্লার মুরাদনগরের বাসিন্দা শাহনাজ বেগম (৩০) এবং হোটেল জেরিনের ম্যানেজার মো. আলমগীর (৫২)।কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাহেদ উদ্দিন জানান, ‘স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে হোটেল পাহাড়িকা ও জেরিনে অসামাজিক কার্যকলাপের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’শান্ত, পাহাড়ঘেরা পর্যটন শহর রাঙামাটি দেশি-বিদেশি ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্য। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জেলার ভাবমর্যাদা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।সচেতন নাগরিক সমাজের মতে, এসব অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধে শুধু পুলিশি অভিযান যথেষ্ট নয়; প্রশাসন, হোটেল মালিক সমিতি ও স্থানীয় জনগণের যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন। পর্যটন শহরের পরিচ্ছন্ন ভাবমর্যাদা রক্ষা ও নৈতিক অবক্ষয় রোধে সামাজিক সচেতনতা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।