• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ রাত ১১:৩৫:৫৬ (20-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ রাত ১১:৩৫:৫৬ (20-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

কানসাটে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদকের নারী কেলেঙ্কারী, দ্বন্দ্বে আহত ১

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় একটি জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদকের নারী কেলেঙ্কারীর জেরে দুই পক্ষের হামলায় একজন আহত হয়েছেন।আহত ব্যক্তি শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ইউনিয়নের পূর্ব বিশ্বনাথপুর গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে আব্দুল ওদুদ (২৫)। কানসাট ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর-পশ্চিমপাড়ার আহলে হাদিস জামে মসজিদে ১৫ মার্চ শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর এ হামলার ঘটনা ঘটে।এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ১১ মার্চ সোমবার পশ্চিমপাড়া আহলে হাদিস জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় চিকিৎসক বেলাল উদ্দীন রনির বিরুদ্ধে তার চেম্বারে সেবা নিতে আসা স্থানীয় এক গৃহবধূর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়া এবং কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ ওঠে। গৃহবধূ কৌশলে চিকিৎসকের চেম্বার থেকে বের হয়ে বাড়ি গিয়ে ঢাকায় থাকা তার স্বামীকে বিষয়টি মুঠোফোনে জানালে সেদিনই ঢাকা থেকে গ্রামে ফিরে লম্পট ডা. রনির বিচার দাবি করলে বিষয়টি গ্রামবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।অবস্থা বেগতিক দেখে ডা. বেলাল উদ্দীন ও তার পরিবারের লোকজন ভুক্তভোগী গৃহধূর বাড়ি গিয়ে ক্ষমা চায় এবং মীমাংসার প্রস্তাব দেয়।১২ মার্চ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ডা. আবু সায়েদ জুয়েলের বাড়িতে সালিশ হয়। কানসাট ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে সালিশে উপস্থিত ছিলেন একই এলাকার আইনাল হক, বিদ্যুত, রউফ, গোলাম, সেতাউর, ইয়াসিন মুনসিসহ এলাকার মসজিদ, গোরস্থান ও ঈদগাহ কমিটির সদস্যগণ।সালিশে ডা. রনিকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে এ টাকা গৃহবধূর পরিবার গ্রহণ না করায় পুরো টাকা সামাদ মেম্বারের কাছে থেকে যায়।এ ঘটনায় পুরো গ্রামের মানুষ ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে। পরে ১৫ মার্চ বাদ জুম্মা ডা. বেলাল উদ্দীন রনি কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরই জেরে মুসল্লী এবং কমিটির সদস্যরা স্পষ্টত দু'ভাগে ভাগ হয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন এবং শুক্রবার বাদ জুম্মা দুই পক্ষের লোকজন কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে ডা. বেলাল উদ্দীন রনির সমর্থকেরা একজোট হয়ে ওদুদের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল শুকুর জানান, ভিকটিম তার আত্মীয়া। এ ঘটনার পর রনি ডাক্তার ও তার পরিবারের লোকজন তার কাছে এসে ক্ষমা চেয়ে মীমাংসা করার জন্য অনুরোধ জানায়। তাদের অনুরোধে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডা. আবু সায়েদ জুয়েলের বাড়িতে সামাদ মেম্বারের সভাপতিত্বে সালিশ হয়। সালিশে ডা. রনিকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু জরিমানার টাকা ভিকটিমের হাতে না দিয়ে সামাদ মেম্বার বাড়ি নিয়ে চলে যায়। পরে মেম্বার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে এলাকাবাসীর চাপে শুক্রবার মসজিদ কমিটির সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন রনি। পদত্যাগের ঘোষণার পর তার সমর্থকরা হট্টগোল শুরু করে। সাধারণ মুসল্লিরা এর প্রতিবাদ জানালে তারা হামলা চালিয়ে ওদুদকে আহত করে।এ বিষয়ে ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুস সামাদ বলেন, নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনাকে ইস্যু করে ডা. রনিকে ফাঁসানো হয়েছে। সবদিক বিবেচনা করে সালিশে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা কী করেছেন, এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান মেম্বার।অভিযুক্ত বেলাল উদ্দীন রনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। সামাজিক চাপে মীমাংসা করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান রনি। মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুস শুকুরের বাড়াবাড়িতে শুক্রবার মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে জানান ডা. রনি।শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি সত্যি দুঃখজনক। তবে কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।