ছাত্র সংসদের দাবিতে আন্দোলনে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (নাকসু) গঠন ও নির্বাচনের দাবিতে গণসমাবেশ ও প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।২৪ আগস্ট রবিবার বেলা ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।এ সময় `ছাত্র সংসদ আমার অধিকার, দিতে হবে দিতে হবে', `অবিলম্বে ছাত্র সংসদ দিতে হবে', `We want Nucsu,We want Nucsu', `অতি দ্রুত ছাত্র সংসদের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে', `চল চল চল উর্ধ্বে গগণে বাজে মাদল, ছাত্র সংসদ হোক মুক্তির সম্বল', `গণতন্ত্রের প্রথম ধারা,ছাত্র সংসদ সবার সাড়া', `তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি সে কি মোর অপরাধ,ছাত্র সংসদ করতে কেন এত অজুহাত', `ছাত্রের অধিকার সংসদ হবে এবার' ইত্যাদি প্লেকার্ড ও ফেস্টুন হাতে অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা।গণসমাবেশে কর্মসূচি ও প্রতীকী অবস্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এবং ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতী বেগম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নয়টি দফার মধ্যে একটি দফা ছিল ছাত্র সংসদ। ফ্যাসিবাদের সময়ে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির ফলে ভোগান্তির শিকার হত শিক্ষার্থীরা। হল গুলোতে মানহীন খাবার,লাইব্রেরিতে বই সংকট, ব্যাথার দানে ঔষধ সংকট, অনুন্নত রিচার্স এই সবগুলো সমস্যার জন্য হলেও ছাত্র সংসদ নির্বাচন জরুরি।ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থী ঐশ্বর্য হৃদয় বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। আমরা সবাই জুলাইয়ের সহযোদ্ধা, আমরা যখন জুলাই আন্দোলন করি সেখানে যে দাবিগুলো ছিলো তারমধ্যে অন্যতম একটি দাবি ছিল প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করা। এখন যারা এই দাবির বিরোধিতা করবে তাদেরকে আমরা জুলাই আন্দোলনের বিপক্ষের শক্তি মনে করবো।প্রশাসনের কাছে জোর দাবি অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন, নাহলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দিবে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ইলিয়াস বলেন, শেখ হাসিনা যেমন নির্বাচন ব্যতীত স্বৈরাচার হয়ে উঠেছিল,আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ না হলে এখন যে সংগঠনগুলো আছে তারাও স্বৈরাচার হয়ে উঠবে, তারাও ছাত্রলীগ হয়ে উঠবে,তারাও সিট বাণিজ্য করবে,আমরা এসব চাইনা।আমরা চাই নজরুলের বুকে ছাত্র সংসদ নেমে আসুক।ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে গণসমাবেশ ও প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন শিক্ষার্থীরা।এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগামী মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের সাথে বসে গঠনতন্ত্র বিষয়ে আলোচনা এবং ইউজিসির সাথে কথা বলে রবিবার এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসার আশ্বাস দেন।