• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ১২ই আষাঢ় ১৪৩২ সন্ধ্যা ০৭:২৯:১৯ (26-Jun-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ১২ই আষাঢ় ১৪৩২ সন্ধ্যা ০৭:২৯:১৯ (26-Jun-2025)
  • - ৩৩° সে:

ভিডিও ভাইরালের জেরে ওসি হওয়ার ১২ দিনের মাথায় থানা ছাড়লেন হাশমত আলী

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১৩ বছর পুরনো এক লাঠিচার্জের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তীব্র বিতর্কের মুখে পড়েছেন জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল থানার নবনিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাশমত আলী।২৫ জুন বুধবার ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ২০১২ সালে জামায়াতে ইসলামীর এক বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের হামলায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন তৎকালীন এসআই হাশমত আলী। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি সরকারি ফোন জমা দিয়ে থানার দায়িত্ব ছেড়ে চলে যান।জানা যায়, ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর জয়পুরহাট জেলা সদরে জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সেই মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে গুরুতর আহত হন জামায়াতের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক নজরুল ইসলামসহ অনেক নেতাকর্মী। দলটির অভিযোগ, তখনকার এসআই হাশমত আলীর গুলিতেই নিহত হন শিবিরকর্মী বদিউজ্জামান, যাকে তারা জেলার প্রথম শহীদ হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন।এই ঘটনার ১৩ বছর পর চলতি বছরের ১৩ জুন হাশমত আলী জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু মাত্র ১২ দিন পর ২৫ জুন সকালে ভাইরাল হয় ২০১২ সালের সেই বিতর্কিত লাঠিচার্জের ভিডিও। ভিডিওটি মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, সৃষ্টি হয় তীব্র প্রতিক্রিয়া।ভিডিও ভাইরালের জেরে ২৫ জুন বুধবার সকালে ওসি হাশমত আলী সরকারি মোবাইল ফোন জমা দিয়ে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যান। এরপর তিনি আর থানায় ফেরেননি। থানায় তাঁর অনুপস্থিতির খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় গুঞ্জন উঠে, ওসি পালিয়ে গেছেন।ক্ষেতলাল উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি শামীম হোসেন মণ্ডল বলেন, ওসি হাশমত আলী ২০১২ সালে আমাদের জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে রক্তাক্ত করেছিলেন আর বদিউজ্জামানকে গুলি করে শহীদ করেন। তিনি যতবার জয়পুরহাটে ছিলেন, দমন-নিপীড়ন বেড়েছে। এখন আবার থানায় বসে সাধারণ মানুষকেও ভয়ভীতি দেখাচ্ছিলেন।তিনি আরও বলেন, আমরা এই ঘটনার বিচার চাই এবং ভবিষ্যতে যেন এমন বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দায়িত্বে না আনা হয় সেই দাবি জানাই।বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ক্ষেতলাল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এস এম কামাল বলেন, ওসি হাশমত ভাইরাল ভিডিওর বিষয়টি উপলব্ধি করে নিজেই সরকারি ফোন জমা দিতে এসপি অফিসে যান। সেখান থেকে তিনি আর ফেরেননি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ছুটি নিয়ে বাড়ি গেছেন।এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মু. আবদুল ওয়াহাব সাংবাদিকদের বলেন, ওসি হাশমত আলী পালিয়ে যাননি। তাঁকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পর্যবেক্ষণ করছে।