পুলিশের ভুলে আটক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা, থানা ঘেরাওয়ের পর মুক্তি
লালমনিরহাট প্রতিনিধি: থানা ঘেরাওয়ের পরে মুক্তি পেয়েছেন পুলিশের ভুলে আটক লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক খন্দকার নূরনবী কাজল। ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির নামের সাথে মিল থাকায় রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে তুলে এনে থানা হাজতে রাখে পুলিশ।১৯ জুন বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় নেতাকর্মীরা থানা ঘেরাও করলে পুলিশ তাদের ভুল বুঝতে পেরে তাকে ছেড়ে দেয়।কাজল উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বেজগ্রাম এলাকার বাসিন্দা এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কাজল নামে একজনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন আদালত। সেই আসামির পরবর্তীতে নামের সাথে মিল থাকায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক খন্দকার নূরনবী কাজলকে বুধবার নিজ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসে থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই এবং ওয়ারেন্ট নেই দাবি করলেও মুক্তি মেলেনি তার। এক পর্যায়ে আটক ব্যাক্তির পরিবারকে পুলিশ জানায়, ওয়ারেন্টভুক্ত কাজলকে না পেলে এ কাজলকে ছাড়া হবে না।বৃহস্পতিবার সকালে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় নেতাকর্মীরা থানা ঘেরাও করে বিনা অপরাধে আটক স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা কাজলের মুক্তির দাবি করেন। এ সময় তারা ওসি মাহমুদুন নবীর অপসারণের দাবি তুলেন। স্থানীয় নেতকর্মীদের তোপের মুখে পুলিশ তাদের ভুল বুঝতে পেরে আটক কাজলকে থানা হাজত থেকে মুক্তি দেয়। এরপর স্থানীয়রা ওসির অপসারণের দাবি তুলে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।কাজলের স্ত্রী নাসরিন ফারহানা বলেন, আমার স্বামীকে ইচ্ছা করে ওসি ধরে নিয়ে এসে থানায় রাতভর আটক করে রাখে। এ নিয়ে আমি কথা বললে ওসি আমার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করেন। আমাকে বলেন ওই আসামীকে ধরে নিয়ে আসেন তারপর আপনার স্বামীকে ছাড়া হবে। আমি এই ওসির বিচার চাই ও অপসারণ চাই।রাতভর থানা হাজতে থাকা হাতীবান্ধা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক খন্দকার নূরনবী কাজল বলেন, আমি বার বার বলেছি আমার নামে কোন মামলা নাই। এরপরেও তারা আমাকে ধরে নিয়ে এসে থানার জেল হাজতে রাতভর আটক করে রাখে। ওসি এর আগেই মিথ্যা মামলায় অনেক মানুষকে হয়রানি করেছেন এ নিয়ে আমরা প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করেছিলাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওসি আমাকে ধরে নিয়ে রাতভর হাজতে আটকে রাখেন। আমি এর সঠিক বিচার ও ওসির অপসারণ চাই।হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদুন নবী বলেন, নামের সাথে মিল থাকায় ভুলবশত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে ধরে আনা হয়েছিলো। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নামের সাথে মিল থাকায় এটি নিছক একটি ভুল।লালমনিরহাট পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি মাত্র। নাম একই হওয়ায় পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বিষয়টি তেমন কিছু না। থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করার কারণ নেই। বিষয়টি সমাধান হয়েছে।