• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৩রা পৌষ ১৪৩২ রাত ১২:৪৭:১০ (18-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

শীতে গাজায় নবজাতকের মৃত্যু, ত্রাণ প্রবেশে বাধায় গভীর মানবিক সংকট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তীব্র শীতের মধ্যে গাজা উপত্যকায় ত্রাণ ও আশ্রয়-সামগ্রী প্রবেশে ইসরায়েলের বাধা অব্যাহত থাকায় এক ফিলিস্তিনি নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মাত্র দুই সপ্তাহ বয়সী শিশু মোহাম্মদ খলিল আবু আল-খাইর মারাত্মক হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণ হারিয়েছে।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ১৫ ডিসেম্বর সোমবার প্রচণ্ড ঠান্ডাজনিত জটিলতা নিয়ে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রয়োজনীয় উষ্ণ আশ্রয় ও শীত প্রতিরোধী সামগ্রীর অভাবে তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে এবং শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।দীর্ঘদিনের যুদ্ধ ও অবরোধের কারণে গাজায় ন্যূনতম সুরক্ষা ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। বহু পরিবার ভেজা মাটির ওপর স্থাপিত অস্থায়ী টেন্টে বসবাস করছে, যেখানে নেই গরমের ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ কিংবা পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র। এ পরিস্থিতিতে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন।প্রায় দুই বছর ধরে চলা সংঘাতে গাজার ৮০ শতাংশেরও বেশি অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। এর ফলে লক্ষাধিক পরিবার অস্থায়ী টেন্ট বা গাদাগাদি করে তৈরি আশ্রয়ে বসবাসে বাধ্য হয়েছে। সম্প্রতি প্রবল ঝড়, ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় বহু টেন্ট পানিতে তলিয়ে যায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ধসে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়।গাজা সিটি থেকে বাস্তুচ্যুত উম্মে মোহাম্মদ আসসালিয়া বলেন, শীতের রাতে আগুন জ্বালিয়ে শিশুদের ভেজা কাপড় শুকানোর চেষ্টা করতে হয়। তার ভাষায়, “অতিরিক্ত কাপড় বা কম্বল নেই, আর যে টেন্ট দেওয়া হয়েছে তা শীত সহ্য করার মতো নয়। পরিবারগুলোর জরুরি ভিত্তিতে কম্বল ও উষ্ণ পোশাক প্রয়োজন।”এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলো গাজায় নির্বিঘ্নে ত্রাণ প্রবেশের আহ্বান জানালেও বাস্তবে বাধা অব্যাহত রয়েছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ সরাসরি গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, তীব্র শীত ও ধসে পড়া ভবনের কারণে শিশু মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে।ইউএনআরডব্লিউএ জোর দিয়ে বলেছে, অবিলম্বে এই পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে বৃহৎ পরিসরে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে। সংস্থাটির মতে, দেরি হলে শীত, অনাহার ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে আরও প্রাণহানি অনিবার্য হয়ে উঠবে। তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা।