তিস্তা নদীর পানির হিস্যা ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকা কলেজে মশাল মিছিল
ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি: তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে ঢাকা কলেজে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।২০ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় কলেজের মূল ফটকে এই কর্মসূচির আয়োজনে নর্থ বেঙ্গল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। কর্মসূচির আগে ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে রক্তদান করেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের এমপি পদপ্রার্থী ও ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক কামাল আহমেদ আনোয়ার। এছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাশিদ আলম, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক পিয়াল হোসেন, সদস্য সচিব মিল্লাদ হোসেনসহ ঢাকা কলেজস্থ উত্তরবঙ্গের জেলাসমূহের সভাপতি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।বিক্ষোভ সমাবেশের পরে মশাল মিছিল ঢাকা কলেজের মূল ফটক থেকে শুরু হয়ে সায়েন্স ল্যাবে শেষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। মশাল মিছিলে উপস্থিতরা বিভিন্ন স্লোগান দেন- “তিস্তা নিয়ে তাড়া নেই, চলবে না চলবে না”, “তিস্তা নিয়ে কান্না আর না, আর না”, “জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাও”, “ভারতীয় আগ্রাসন আর না, আর না” ইত্যাদি।বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক পিয়াল হোসেন বলেন, উত্তরবঙ্গকে দেশের থেকে আলাদা করে দেখার কোনো স্থান নেই। তিস্তা দেশের সকলের জন্য প্রয়োজন। উত্তরবঙ্গের কৃষকের ফসল সারা বাংলাদেশ ভোগ করে। তাই আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী স্বাধীন নদী-বণ্টন চুক্তি মেনে তিস্তা নদীর পানির সুষ্ঠু বণ্টন সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের এমপি পদপ্রার্থী কামাল আহমেদ আনোয়ার বলেন, চিনের দুঃখ হল হোয়াংহো, আর বাংলাদেশের দুঃখ তিস্তা। উত্তরবঙ্গের মানুষের বৈষম্য দেখে চোখে জল আসে। এই বৈষম্যের অবসান হওয়া উচিত।তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর বড় বড় কথা বলেছে, কিন্তু কোনো সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়নি। তিস্তা সারা বাংলাদেশের সমস্যা। সরকার যদি আগামী নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না করে, তাহলে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিয়ে আগামীতে সারা ঢাকায় মশাল মিছিল করা হবে।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তিস্তা পাড়ের মানুষ কষ্ট পাবে-আমরা তা মেনে নেবো না। প্রয়োজনে যমুনা অভিমুখে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। উত্তরবঙ্গের আড়াই কোটি মানুষ পানি পাবে না- শুধুই ব্যাপারটা তাই নয়; তিস্তা সংকটে সারা বাংলাদেশের মানুষ পানিতে ভোগেন। ভারতের প্রতি তাঁর অনুরোধ ছিল- সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে কোনো আক্রমণ করবেন না।