বকশীগঞ্জে তাঁতী লীগ নেতা রিয়াদ আটক
বকশিগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি এবং নাশকতা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত তাঁতী লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান রিয়াদ (২৮) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের খেতারচর খানপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।গ্রেফতার মাহবুবুর রহমান রিয়াদ বকশীগঞ্জ উপজেলা তাঁতী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং স্থানীয় মো. সাদা মিয়ার ছেলে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রিয়াদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা চলমান ছিল। এছাড়া একটি নাশকতা মামলাতেও তিনি অন্যতম আসামি।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছাত্রজীবনে রিয়াদ গাজীপুর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজে অধ্যয়নকালে সেখানকার প্রভাবশালী ছাত্রলীগ নেতা রগকাটা রবিন সরদারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিল। রবিনের নেতৃত্বাধীন একটি গ্রুপের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করতেন তিনি। পরে স্থানীয় এক প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননীকে প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করেন রিয়াদ।অভিযোগ রয়েছে, সেই নারীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে এলাকায় বাড়ি ও গাড়ি ক্রয় করেন তিনি। ওই নারীর অর্থেই তিনি সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন এবং এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার ব্যানার-ফেস্টুন টানান।রিয়াদ গাজীপুরে দলের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন বলেও অভিযোগ রয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর তিনি জামালপুরে ফিরে এসে আবারও প্রতারণার আশ্রয় নেন।সর্বশেষ অভিযোগে বলা হয়, শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার রায়হান মাস্টারের একমাত্র মেয়ে মনিকে তিনি খান পরিবহন মালিক ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী পরিচয় দিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ফাঁদে ফেলেন। পরবর্তীতে বিয়ের পর নানা প্রতারণা ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহম্মেদ বলেন, গ্রেফতার মাহবুবুর রহমান নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। পাশাপাশি নাশকতা মামলায়ও তার নাম রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয় এবং বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, রিয়াদের নামে বর্তমানে আরও তিনটি মামলা গাজীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে।