শৈলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগ
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: মণিরামপুর উপজেলার শৈলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ চারটি পদে নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।জানা যায়, শৈলী গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে ইস্রাফিল হোসেন একই দিনে দুটি পদে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম তাকে বিজ্ঞান ও গণিত দুটি পৃথক পদে নিয়োগপত্র দেন। বর্তমানে তিনি গণিত শিক্ষক হিসেবে এমপিওভুক্ত হয়েছেন।অন্যদিকে কিশোর কুমার দেবনাথকে ব্যবসায় শিক্ষা এবং শেফালী রানীকে অষ্টম শ্রেণির শাখা শিক্ষক হিসেবেও নিয়োগ দেন ওই প্রধান শিক্ষক।তবে শেফালী রানীর এমপিওভুক্তির আবেদন কাগজপত্রে অসংগতি ধরা পড়ায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে আটকা পড়ে রয়েছে।এছাড়া দীর্ঘ ২৩ বছর পাড়দিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় নন-এমপিও শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন মিলন কুমার সিংহ। ২০২২ সালের ৫ মার্চ শৈলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেখানো হয় তাকে। এরপর ২০২৩ সালে এমপিওভুক্ত হন তিনি । তবে ব্যানবেইস রেকর্ড অনুযায়ী, ২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তার নাম পাড়দিয়া মাদরাসায় ছিল।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০২১ সালের এমপিও নীতি অনুযায়ী, ২০১৩ সাল থেকে ব্যানবেইসে ডকেটভুক্ত শিক্ষকই এমপিওভুক্তির যোগ্য। অথচ শৈলী বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষকই ২০২২-২৩ সালে রেকর্ডভুক্ত হন। এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।এছাড়াও প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে যশোর শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের সিল-স্বাক্ষর জাল করে বিজ্ঞান ও অষ্টম শ্রেণির ‘খ’ শাখা খোলার ভুয়া অনুমতিপত্র তৈরির অভিযোগ রয়েছে। এসব শাখার ভিত্তিতেই পরবর্তীতে কথিত নিয়োগ দেখানো হয়েছে।বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি রিপন কুমার ধর বলেন, ‘আমি শুধু কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছি। বিস্তারিত জানি না, বাকি সবকিছু প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম জানেন।’অভিযোগের বিয়য়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম বলেন, আপনাদের কাছে এসব তথ্য কে দিয়েছে? যা বুঝেছেন, তা লিখে দিন।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ এস এম জিল্লুর রশিদ বলেন, ‘যদি কোনও প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে জালিয়াতি বা অনিয়ম হয়ে থাকে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’যশোর জেলা শিক্ষা অফিসার মো. মাহাফুজুর হোসেন বলেন, ‘সব অনিয়ম সবসময় চোখে পড়ে না। অভিযোগ এলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’