ডাকসু নির্বাচন: জাতীয় ছাত্র সমাজের প্যানেল জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী
নিজস্ব প্রতিবেদক: ডাকসু নির্বাচনে জাতীয় ছাত্র সমাজের প্যানেল থেকে সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে লড়ছেন হাজী মুহাম্মদ মহসীন হলের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের শিক্ষার্থী মুস্তাকিম বিল্লাহ রাকিব (ব্যালট নং- ২২), সমাজসেবা সম্পাদক পদে লড়ছেন কবি জসিমুদ্দিন হলের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল আলিফ (ব্যালট নং-১৩) ও সদস্য পদে নির্বাচন করছেন মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান রাহাত (ব্যালট নং-৭৩) পুরো প্যানেল আগামী ৯ সেপ্টেম্বরে ডাকসুর নির্বাচনে জয়ী হওয়ার আশাবাদী।বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ( বিজেপি) এর ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহবয়ক মো. আসিফুজ্জামান অর্পণ গনমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন একটি ছাত্র সংগঠন কিংবা একটি শিক্ষার্থী প্যানেল এককভাবে কখনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কে শতভাগ শিক্ষার্থীবান্ধব করতে পারে না।এর জন্য প্রয়োজন সাংগঠনিক ঐক্য বা প্যানেল সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে পারার অকুতোভয় মানসিকতা আর ঢাবি শিক্ষার্থীদের স্বার্থকে সবকিছুর উপরে প্রাধান্য দেয়ার সদিচ্ছা এবং ঢাবির সকল সাধারণ শিক্ষার্থীর স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা। আমাদের সেই অকুতোভয় মানসিকতা ও সদিচ্ছা আছে।ঢাবির সকল শিক্ষার্থীর স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতাটাই শুধু আমরা চাই। আমরা একসাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে চাই। তাই আমরা জাতীয় ছাত্র সমাজের প্যানেল ডাকসুর ২০২৫ এর নির্বাচনে জয়যুক্ত হবো বলে ১০০% আশারাখি।আমরা বিদ্যালয় এলাকা বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কাজ করবো। লেখাপড়ার পাশাপাশি হলে যেন সুস্বাস্থ্য এবং সুশৃংখল থাকতে পারে শিক্ষার্থীরা সেদিকে বিশেষ নজর দিবো, মাদক মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তুলবো, সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরি করবো।তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন।এবার ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে মোট ৪৭১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ৬২ জন। আর সদস্যপদে সবচেয়ে বেশি ২১৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর ১৮টি হলে ১৩টি পদে মোট ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।এবারের ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ আলাদা আলাদা প্যানেল দিয়েছে। বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো দুটি প্যানেলে নির্বাচন করছে। পূর্ণ ও আংশিক মিলিয়ে মোট প্যানেল ১০টির মতো নির্বাচনে অংশ নিবে।