• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১লা আষাঢ় ১৪৩২ সন্ধ্যা ০৬:২৪:৩০ (15-Jun-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১লা আষাঢ় ১৪৩২ সন্ধ্যা ০৬:২৪:৩০ (15-Jun-2025)
  • - ৩৩° সে:

পূবাইলে বলাৎকারের অভিযোগে আটক ইমামের মৃত্যুর ব্যাখ্যা দিয়েছে পুলিশ

পূবাইল (গাজীপুর) প্রতিনিধি:  গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানার হায়দরাবাদের তালগাছিয়ার টেক এলাকায় শিশু বলাৎকারের অভিযোগে জনতার হাতে আটক ও গণধোলাইয়ের শিকার আখলাদুল জামে মসজিদের ইমাম রইজ উদ্দিনের (৩২) কারাগারে মৃত্যুর ঘটনায় বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)।১ মে বৃহস্পতিবার টঙ্গী পূর্ব থানা কনফারেন্স রুমে প্রেস ব্রিফিংয়ে জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) এন এম নাসিরুদ্দিন ঘটনার বিস্তারিত সাংবাদিকদের জানান।পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পূবাইলের হায়দরাবাদ এলাকায় রইজ উদ্দিন এক শিশুকে বলাৎকারের চেষ্টা করলে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে মারধর করে  পূবাইল থানা পুলিশের কাছে তুলে দেয়।আহত রইজ উদ্দিনকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে দুপুর পৌনে দুইটার দিকে তাকে পূবাইল থানায় আনা হয়। এর আগেই, দুপুর  বারোটায় ভুক্তভোগী কিশোরের বাবা মাইনুদ্দিন বাদী হয়ে রইজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এর ৯(১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর নিয়ম অনুযায়ী রইজ উদ্দিনকে দুপুর আড়াইটার দিকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত শুনানি শেষে তাকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেনউপ-পুলিশ কমিশনার এন এম নাসিরুদ্দিন জানান, কারাগারে থাকা অবস্থায় সোমবার রাত তিনটার দিকে রইজ উদ্দিন অসুস্থ বোধ করলে কারা কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।পরে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহীদ উল্লাহ ও পুলিশের উপস্থিতিতে মরদেহ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এএনএম আল মামুন ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। এরপর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। স্থানীয় সাক্ষীদের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে আলামত জব্দ করা ।উপ পুলিশ কমিশনার এন নাসির উদ্দিন জানান, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যক্তি বা গুষ্টি ভুল তথ্যর উপর ভিত্তি করে। ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে। তদন্ত প্রক্রিয়াকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে তারা থানা ঘেরাও মানববন্ধন মহাসড়ক অবরোধ মিছিল প্রতিবাদ সভা যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব অপপ্রচার চালিয়েছে ও। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি চেষ্টা করছেও বিচারিক প্রক্রিয়া অযাচিত হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছে।সকলকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা ।এদিকে গণপিটুনির শিকার ইমামের মৃত্যুকে পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন এ ঘটনায় সোমবারের ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ইমামের স্ত্রী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয় বিরোধী পক্ষের একজনের ছেলেকে বলৎকার নাটক সাজিয়ে গাছের সাথে বেধে মারধর করা হয়। বিরোধীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বুকে পিঠে মাথায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।এক পর্যায়ে মাথার চুল কেটে জুতার মালা গলায় দেন এবং মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। মৃত ইমামের স্ত্রী আরও দাবি করে অতিরিক্ত মাইর দূরের কারণেই তার স্বামীর মৃত্যু হয়।