• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ২০শে ভাদ্র ১৪৩২ সন্ধ্যা ০৭:০৩:৪৪ (04-Sep-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সাংবাদিক ওয়াহেদ-উজ-জামানের চিরবিদায়

বাবুল আকতার, খুলনা ব্যুরো: খুলনার সিনিয়র সাংবাদিক ওয়াহেদ-উজ- জামান বুলুকে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় চির বিদায় জানিয়েছে সংবাদকর্মীসহ বিভিন্ন মানুষ।১ সেপ্টেম্বর সোমাবার দুপুর ৩টায় তার মরদেহ খুলনা প্রেস ক্লাবে আনা হয়। সেখানে ফুল দিয়ে বুলুর প্রধ শেষ শ্রদ্ধা জানান খুলনা প্রেস ক্লাব, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন সংগঠন, ইলেকট্রোনিক্স মিডিয়া, জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকরা।পরে প্রেস ক্লাব চত্বরে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে বিকাল ৪টায় খালিশপুর গোয়ালখালী কবর স্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। খুলনা প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক এনামুল হক, দৈনিক খুলনা অঞ্চলের সম্পাদক মিজানুর রহমান মিল্টন, দৈনিক প্রবর্তন পত্রিকার সম্পাদক মোস্তফা সরওয়ার, দৈনিক কালের কণ্ঠের ব্যুরো চীফ এইচ এম আলাউদ্দীন, এশিয়ান টেলিভিশন ও দৈনিক ভোরের কাগজের খুলনা বিভাগীয় প্রধান বাবুল আকতার । এদিকে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন  করে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. সাঈয়েদুজ্জামান সম্রাট,সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্রনাথ সেন ,সহ-সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি কাজী শামীম আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক এস এম মনিরুজ্জামান, প্রচার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিলন হোসেন,দপ্তর সম্পাদক সাগর সরকার ও নির্বাহী সদস্য নেয়ামুল হোসেন কচি, লিয়াকত হোসেন, উত্তম কুমার সরকার প্রমুখ। অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব মো. হেদায়েত হোসেন মোল্লা ও নির্বাহী সদস্য কৌশিক দে বাপী।অন্যদিকে সাংবাদিক ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলুর মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বজনরা। তাদের দাবি, এটি হত্যাকাণ্ড।বুলুর ছোট ভাই আনিছুজ্জামান দুলু বলেন, ‘ভাইয়ের মৃত্যু আসলে অস্বাভাবিক। হঠাৎ এভাবে আত্মহত্যা করতে পারেন না। মানসিক চাপে থাকলেও আত্মহত্যার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করতে হবে। আমরা এই ঘটনার ন্যায়বিচার চাই।’পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় ছিলেন সাংবাদিক বুলু। মেজো ভাই সড়ক দুর্ঘটনায় কয়েক বছর আগে মারা যান। ছোট ভাই আনিছুজ্জামান দুলু ঢাকায় ব্যবসা করেন। নগরের শিববাড়ি মোড় সংলগ্ন ইব্রাহিম মিয়া রোডে তাদের পৈতৃক বাড়ি থাকলেও সেটি চার বছর আগে বিক্রি করা হয়। এরপর বুলু সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। প্রায় চার মাস আগে তার স্ত্রী নিখোঁজ হন। ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাগমারা এলাকায় নতুন বাসায় ওঠার কথা ছিল তার।কেএমপি সদর থানার নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মহিদুল হক বলেন, ‘রোববার রাতে খবর পেয়ে সেতুর ২ নম্বর পিলারের বেসমেন্টের ওপর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। সুরতহালে দেখা গেছে মুখ থেঁতলানো, দুই হাত ও বাঁ পা ভাঙা। পরে মরদেহটি খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে।’