চলন্ত বাসে কলেজ ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
নবীগন্জ (হবিগন্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে ১৫ জুন রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে আটকে রেখে এক কলেজ ছাত্রীকে বাসের চালক ও হেলপার পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে।বাসের ভিতর কলেজ ছাত্রীর চিৎকার শোনে তিনতালাব পুকুর পাড়ে বাস ও ড্রাইভার মো. সাব্বির (২৫)কে আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে ঘটনাস্থলে ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ভিকটিম কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে। একই সঙ্গে ধর্ষক বাস চালক মো. সাব্বির (২৫)কে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। তবে এসময় পালিয়ে যায় হেলপার লিটন মিয়া (২৩) ।স্থানীয় কয়েকজন জানান, বানিয়াচং উপজেলার বড় বাজার এলাকার বাসিন্দা এবং ঢাকার ফার্মগেটের একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ভুক্তভোগী ওই তরুণী। তিনি রোববার ঢাকার ফার্মগেট থেকে ‘বিলাশ পরিবহন’ নামের একটি বাসে বাড়ি ফেরার উদ্দেশে রওনা দেন। পথে শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও ওই ছাত্রী ঘুমিয়ে পড়ায় বাসটি সিলেট পর্যন্ত চলে যায়। তাই সিলেটে নেমে নবীগঞ্জ হয়ে আজমিরীগঞ্জ যাওয়ার জন্য ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামের বাসে ওঠেন ওই ছাত্রী। কিন্তু, শেরপুরে অন্যান্য যাত্রীরা নেমে যাওয়ায় বাসে তিনি একা হয়ে পড়েন। এই সুযোগে চালক সাব্বির ও হেলপার লিটন পালাক্রমে ধর্ষণ করেন তাকে। তারা আরও জানায়, আউশকান্দি এলাকায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে স্থানীয়রা চালক সাব্বিরকে আটক করে তাদের হাতে তুলে দেন। তবে, হেলপার লিটন মিয়া পালিয়ে যান। পরে সেনাবাহিনী ধর্ষক বাসচালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেন। নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. দুলাল মিয়া জানান, কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বাসচালককে আটক করা হয়েছে। হেলপার পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।