• ঢাকা
  • |
  • বুধবার ২৩শে আশ্বিন ১৪৩২ দুপুর ০২:১৯:০৫ (08-Oct-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

ইউএনও’র বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার কাছ থেকে ঘুস নেয়ার অভিযোগ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাইয়ুম খানের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের ঘুস আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ীর নাম মতিউর রহমান সাগর। তিনি নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের লাউলানী গ্রামের অধিবাসী এবং তিনি দীর্ঘদিন যাবত নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন- বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট।নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগরের লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউএনও আব্দুল কাইয়ুম খান নড়িয়ায় যোগদানের পরপরই মতিউর রহমান সাগর যথাযথ নিয়ম মেনে ঘড়িসার ইউনিয়নের নোয়াদ্দা বাংলাবাজার এলাকায় একটি ওয়াস ব্লক নির্মাণ করেন। কাজের বিল তুলতে গেলে ইউএনও অফিস খরচ বাবদ ৮ শতাংশ টাকা দাবি করেন।ঘুস দিতে অস্বীকৃতি জানালে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে ইউএনও বিভিন্ন আইনি ভয়ভীতি দেখিয়ে মতিউর রহমান সাগরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন।এরপর ২০ আগস্ট বিদেশে অবস্থানকালে মতিউর রহমানের কর্মচারী বিল্লাল হোসেন সরকারি ওএমএস চাল বিতরণ করেন। এ সময় ইউএনও অনিয়মের অভিযোগ এনে মতিউর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠান। তিনি ২৩ আগস্ট জবাব দিলেও ইউএনও তাতে সন্তুষ্ট হননি।পরে ইউএনও আব্দুল কাইয়ুম খান ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম পরস্পর যোগসাজশে পাঁচ লাখ টাকা ঘুস দাবি করেন। অভিযোগে বলা হয়, টাকা দিতে অনীহা প্রকাশ করলে ইউএনও ক্ষিপ্ত হয়ে ২৮ আগস্ট ফৌজদারি মামলার একটি চিঠি ইস্যু করেন এবং তা খাদ্য কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম মতিউর রহমানের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠান।বিষয়টি নিয়ে বিব্রত হয়ে মতিউর রহমান একই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইউএনওর সঙ্গে দেখা করে খামে ভরে দুই লাখ টাকা দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বাকি তিন লাখ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।এরপর আরও এক লাখ টাকা দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন ইউএনও। মতিউর রহমান টাকা না দিলে ১১ দিন পর ইউএনও সাত-আটজন কর্মকর্তাকে নিয়ে তার গোডাউনে হানা দেন এবং ৩৫৫ কেজি চাল কম পাওয়ার অভিযোগে ৪১ হাজার ৪০৬ টাকা জরিমানা ও ডিলারশিপ স্থগিত করেন।উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি বলে উনার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।এ বিষয়ে ইউএনও আব্দুল কাইয়ুম খান মোবাইল ফোনে বলেন, ‘যে দিন সন্ধ্যা ৭টার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেদিন আমি নড়িয়া উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় ছিলাম। ওই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক তাহসিনা বেগম বলেন, “আমি এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাচ্ছে না।’