নিম্নচাপের প্রভাবে রাঙ্গাবালীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আগেই দুর্বল হলেও গত দুইদিনে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় দগদগে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। অস্বাভাবিক জোয়ার, বৃষ্টি আর ঝড়ো বাতাসে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ঘরবাড়ি, মাছের ঘের, কৃষিজমি ও বেড়িবাঁধের। এতে ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা।মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, উপজেলার ১ হাজার ৩০০টি পুকুর এবং ৪৫০টি মাছের ঘের পানিতে ভেসে গেছে। উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নের আশাবাড়িয়া এলাকার ঘের মালিক লিটু গাজী বলেন, 'জোয়ারের পানিতে আমার ঘের সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হলো।'একই এলাকার মিন্টু সরদার জানান, 'এই চরের ৩০টির বেশি ঘের এক রাতেই শেষ। কোটি টাকার ওপর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।'কৃষি অফিসের তথ্যমতে, ৮ হেক্টর আউশ ধানের বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ২৬০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেতও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন কৃষক পরিবার।পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নে ৪০০ মিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে ১০০ মিটার সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরবেষ্টিন এলাকায় আরও ৩৫ মিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চরআন্ডা এলাকায়ও অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তবে তা এখনও নিরূপণাধীন।ঘরবাড়ির দিক দিয়েও বিপর্যয় ঘটেছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয় জানিয়েছে, অন্তত ৬০টি ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুই দিনের জোয়ার ও টানা বৃষ্টিতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছিলেন অন্তত ৩৩ হাজার মানুষএ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হাসান জানান, দুর্গতদের জন্য প্রাথমিকভাবে ১১ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আরও ত্রাণ সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব করে দ্রুত পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করা হবে।