• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৬:৪৬:২২ (20-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৬:৪৬:২২ (20-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

মতলব উত্তরে বিদ্যালয়গুলোতে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে খেলাধুলায় আগ্রহী করতে বিদ্যালয়গুলোতে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করতে বরাদ্দ দেয় সরকার। সরকারি বরাদ্দের প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।সূত্র জানায়, অনিয়মে জড়িত আছেন উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার অলিউল্লাহ ও ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার বেলায়েত হোসেন ।জানা যায়, উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে শিশুদের ক্রড়া সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ১৬টি বিদ্যালয়ের বিপরীতে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে মোট ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর।এসব কাজ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি (এসএমসি) ও প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে করার কথা থাকলেও কাজ করেছেনি সহকারী শিক্ষা অফিসার অলিউল্লাহ ও বেলায়েত হোসেন।বরাদ্দকৃত ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ঠিকাদারের কাছ থেকে খেলনা সামগ্রী এনে ৭৮ থেকে ৯০ হাজার টাকা নিয়েছেন অভিযুক্ত দুই অফিসার। আবার অফিস খরচ বাবদ নিয়েছেন ১৭ হাজার করে।মঙ্গলবার ৮ আগস্ট ও বুধবার ৯ আগস্ট  বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েকটি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ অন্য সদস্যরা বরাদ্দের ব্যাপারে তেমন কিছু জানেন না।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষক বলেন, আমি চাকরি করি, তাই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কথামতো চলতে হয়। আরেক শিক্ষক বলেন, আমরা নিজেরা ক্রয় করলে এর চেয়ে আরো কম দামে এলাকা থেকেই ক্রয় করতে পারতাম।এ বিষয়ে ক্রীড়া সামগ্রী বিক্রেতা রবিউল জানান, আমি মতলব উত্তর উপজেলায় শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে ১৩টি বিদ্যালয়ে খেলনা সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি।অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার অলিউল্লাহ বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আমি কোনো অনিয়মের সাথে জড়িত নই।শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, বরাদ্দের টাকা শিক্ষা কর্মকর্তার সরকারি একাউন্টে আনার নিয়ম আছে। সেখান থেকে বিদ্যালয়গুলোর একাউন্টে দেয়া হচ্ছে। অফিস খরচ বাবদ ১৭ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষকই কাজ করেছেন। এখানে কোনো অনিয়ম হওয়ার সুযোগ নেই।জেলা শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।