• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ১লা আষাঢ় ১৪৩২ রাত ০৩:২৯:৪২ (16-Jun-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ১লা আষাঢ় ১৪৩২ রাত ০৩:২৯:৪২ (16-Jun-2025)
  • - ৩৩° সে:

বকশীগঞ্জে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামারা

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জ এলাকার কামারের দোকানগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কামারদের ব্যস্ত সময় পার করার চিত্র। কামাররা কখনো ক্রেতাদের সঙ্গে দরকষাকষি করছেন, কখনো আবার ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন লোহা পেটাতে। এভাবেই কাটছে তাদের দিন। লোহাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রূপ দেওয়া হচ্ছে ছুরি, চাপাতি, বঁটি কিংবা দা তে।বকশীগঞ্জ কামারপাড়া ঘুরে দেখা যায়, আকার ও মান অনুযায়ী ছুরি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত। এর মধ্যে ছোট ছুরি ৮০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। আর বড় দা বা ছুরি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকায়। মানভেদে পশু জবাইয়ের ছুরি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। কাঁচা লোহা দিয়ে তৈরি ছুরি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ছুরি পিস হিসেবে বিক্রি হলেও চাপাতি বিক্রি হয় কেজি দরে। ওজন ও মান অনুযায়ী চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত। এর মধ্যে কাঁচা লোহা দিয়ে তৈরি চাপাতি পাওয়া যাচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে। একইভাবে বঁটিও ওজন ও মান অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত।বিক্রেতা মো.আকরাম আলী বলেন, কোরবানির ঈদের আগে আমাদের এখানে ছোট ছুরি, জবাই ছুরি আর চাপাতিই বেশি বিক্রি হয়। ঈদের বেচাকেনা শুরু হয়েছে প্রায় ৩-৬ দিন হয়ে গেল। এখন প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকার বেচাকেনা হচ্ছে।অন্য এক বিক্রেতা জাহাঙ্গীর মিয়া জানান, অনলাইন ব্যবসার কারণে কামারদের দোকানে ভিড় কিছুটা কম। তিনি বলেন, মানুষ এখন অনলাইনে কেনাকাটা করে আর আমাদের থেকে মাল কিনে নিয়ে অনলাইন ওয়ালারা বেশি দামে বিক্রি করছে। এটাতে আমরা লসে পড়ে যাচ্ছি।বকশীগঞ্জ বাজারের কামারপাড়ায় বঁটি-ছুরি কিনতে আসা মো. শাওন শেখ বলেন, ছুরি-বঁটির দাম যে এত বেশি আমার জানা ছিল না। অন্যথায় যদি দাম নাগালের মধ্যে থাকে সেটা ক্রেতাদের জন্য খুব ভালো হতো।