• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ সকাল ১১:৩৬:২৮ (20-May-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ সকাল ১১:৩৬:২৮ (20-May-2024)
  • - ৩৩° সে:

গাইবান্ধার সাঘাটায় অবৈধভাবে কাঠ পুড়িয়ে চলছে কয়লা তৈরির কাজ

সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার অন্তত ১০টি স্থানে গাছের গুঁড়ি ও কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি হচ্ছে। কয়লা তৈরির এ কারখানাগুলোর পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। চুল্লি থেকে নির্গত ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, আমন ধানের ফসল নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া আশপাশের এলাকার মানুষ কাঁশিসহ নানা সমস্যায় ভুগছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়লা তৈরির এসব কারখানা বন্ধের নির্দেশ দিলেও তোয়াক্কা করছেন না মালিকরা।জানা গেছে, সাঘাটা উপজেলার ধনারুহা, নাশিরার পাড়া,  ছিলমানের পাড়া, মথর পাড়া, ঘুড়িদহ, পাঁচ গড়গড়িয়া, বড়াইকান্দি, বাঙ্গাবাড়ী গ্রামের রায়হান ও অপর ৯ অসাধু ব্যক্তি  ইট দিয়ে চুল্লি বানিয়ে তাতে গাছের গুঁড়ি পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করছেন । চুল্লির চারদিকে রাখা গাছের গুঁড়ি ও শুকনা কাঠ-লাকড়ি। চুল্লিতে আগুন জ্বলছে। এক পাশে চুল্লির মুখ খোলা। সেদিক দিয়ে গাছের গুঁড়ি, লাকড়ি দেওয়া হয়। খোলা মুখে আগুন দিয়ে সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়।কারখানার মালিকেরা বলেন, এক মণ খড়ি পুড়িয়ে পাঁচ-ছয় কেজি কয়লা পাওয়া যায়। প্রতিটি চুল্লিতে প্রতি দফায় ২০০ থেকে ৩০০ মণ কাঠ পোড়ানো হয়। ৮ থেকে ১০ দিন পোড়ানোর পর চুল্লি থেকে কয়লা বের করা হয়। পোড়ানো কয়লা ঠান্ডা করে বিক্রির জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রেতাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রতি মণ লাকড়ি ১৫০ টাকায় কিনে প্রতি মণ কয়লা ৮০০ টাকায় বিক্রি করেন।কারখানার মালিকরা বলেন, তাদের কারখানায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নেই। ৫ মাস তারা আগে কারখানা শুরু করেছেন। এর মধ্যেই উপজেলা প্রশাসন থেকে চিঠি দিয়েছে কারখানা বন্ধ করার জন্য।এ প্রসঙ্গে সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসাহাক আলী বলেন, গত ৩০ আগস্ট ৮টি অবৈধ কয়লা কারখানার মালিককে কয়লা তৈরির কারখানা বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বন্ধ না করলে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।