• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৬ই অগ্রহায়ণ ১৪৩২ সকাল ১০:৪৯:৪৮ (20-Nov-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

চারদিনের সফরে আজ ঢাকায় আসছেন কমনওয়েলথ মহাসচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক: চারদিনের সফরে আজ ঢাকায় আসছেন কমনওয়েলথের মহাসচিব শার্লি বচওয়ে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ এক মুহূর্তে বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে তার এই সফর।২০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসছেন তিনি।সফরকালে কমনওয়েলথ মহাসচিব বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপর্যায় এবং বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি ২০ থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করবেন। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে তিনি এই সফর করছেন।কমনওয়েলথ জানায়, ২০-২৪ নভেম্বর বাংলাদেশের সফরে মহাসচিব শার্লি বচওয়ে বিভিন্ন অংশীদারের সঙ্গে আলোচনা ও সম্পৃক্ততা বাড়াবেন। আগামী ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এর জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সফরকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।কমনওয়েলথ আরও জানায়, মহাসচিবের এই সফরটি গত মাসে বাংলাদেশে আসা কমনওয়েলথের প্রাক-নির্বাচনী মূল্যায়ন দলের মিশনের স্বাভাবিক ধারাবাহিকতা। দলটি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও নাগরিক অংশীদারের সঙ্গে বৈঠক করে আসন্ন নির্বাচনের সামগ্রিক পরিবেশ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যালোচনা করেছিলেন।লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় কমনওয়েলথ মহাসচিবের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), হাই কমিশনার এবং অন্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। এই আলোচনাগুলোর সময় মহাসচিব কমনওয়েলথের নতুন কৌশলগত পরিকল্পনা সম্পর্কেও অংশীজনদের ব্রিফ করবেন, যার তিনটি মূল স্তম্ভের একটি হলো গণতন্ত্র।সফরের আগে কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি বচওয়ে বাংলাদেশকে কমনওয়েলথের একটি মূল্যবান সদস্য হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি উল্লেখ করে বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ প্রথম যে সংস্থায় যোগ দিয়েছিল, সেটি ছিল কমনওয়েলথ। তিনি আরও বলেন, ‘কমনওয়েলথ এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি দৃঢ় অংশীদারিত্ব রয়েছে, যা আগামী বছরে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অভিন্ন প্রতিশ্রুতি হলো একটি শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ গঠন করা, যেখানে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা সম্মানিত হয়,’ যোগ করেন কমনওয়েলথ মহাসচিব।তিনি বাংলাদেশের জনগণের মঙ্গল কামনা করেন, যেহেতু তারা ভোটাধিকার প্রয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রায় কমনওয়েলথের পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।এই সফর বাংলাদেশ ও কমনওয়েলথের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।