প্রশাসনের তৎপরতায় ন্যায্য ভাড়ায় ঢাকায় ফিরছে নওগাঁর যাত্রীরা
নওগাঁ প্রতিনিধি: ঈদের ছুটি শেষে প্রচন্ড তাপদাহকে উপেক্ষা করে নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে নওগাঁর মানুষরা। বিগত বছরের তুলনায় এরাবরই প্রথম প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর কঠোর তৎপরতায় নির্ধারিত ভাড়ায় টিকেট কেটে বিনা হয়রানিতে যে যার কর্মস্থলের দিকে ছুটছেন। প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপে হয়রানি, ভোগান্তি ও অতিরিক্ত টাকা ছাড়াই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে পারছেন বলে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।শাহ ফতেহ্ আলী বাস যোগে নওগাঁ থেকে চট্টগ্রামগামী যাত্রী শাহীন হোসেন জানান, এবার বাস কাউন্টারে সরকারের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত ভাড়াতেই টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে। অন্যান্য বছরের মতো অতিরিক্ত টাকা নিয়ে টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে না। বরং নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কিছু টাকা কম নেওয়া হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এবার কাউন্টারে এসে কোনো প্রকারের হয়রানি ও ভোগান্তি ছাড়াই টিকেট পাওয়া যাচ্ছে এবং ফিরতি পথে সড়কে তেমন একটা যানজট না থাকার কারণে সময় মতো বাস চলাচল করছে।নন ব্র্যান্ড রকি বাসে নওগাঁ থেকে ঢাকাগামী রাণীনগর উপজেলার যাত্রী হোসনে আরা জানান, নামীদামী ব্র্যান্ডের বাসের টিকিট না পাওয়ায় রকি বাসে করে সরকারের নির্ধারিত ভাড়া ৬৮০ টাকায় তিনি ঢাকায় নিজ কর্মস্থলে ফিরছেন। এবার ঈদে বাড়ি আসতে এবং ফিরতি পথে বাসের টিকিটের জন্য কোনো অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়নি। এমনকি কোনো প্রকারের হয়রানি কিংবা ভোগান্তিও পোহাতে হয়নি।হানিফ পরিবহনের নওগাঁ কাউন্টারের সহকারী ম্যানেজার রিমন হোসেন জানান, এবার ঈদের ছুটি দীর্ঘ হওয়ার কারণে এবং বাস কোম্পানিগুলো যাত্রী পরিবহনে তাদের নতুন বাস সংযোগ না করার কারণে আগামী ১৫ তারিখ পর্যন্ত বাসের টিকিট অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে। ফলে অনেক সময় তাৎক্ষণিক ভাবে কাউন্টারে টিকেট প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া, এই ঈদে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি কেউ নিচ্ছে না। কাউন্টারগুলোতে প্রতিদিনই প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে।সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইবনুল আবেদীন জানান, ঈদের আগেই জেলা প্রশাসক দূরপাল্লার বাস সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে ভাড়া বিষয়ে একাধিকবার সভা করেছেন। সভায় জেলা সদর থেকে দূরবর্তী উপজেলার দূরত্ব অনুসারে ঢাকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ১শ’ থেকে ২শ’ টাকা বেশি নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবে এবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন দূরপাল্লার বাসের ভাড়া নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কিছুটা কম নেওয়া হচ্ছে।