বাকৃবি গবেষকদের জৈব ছত্রাকনাশক সারের ব্যবহার কমাবে ২৫ শতাংশ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: দীর্ঘ ২৪ বছরের গবেষণা করে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক উদ্ভাবন করেছেন পরিবেশবান্ধব জৈব ছত্রাকনাশক। এর ব্যবহার একদিকে কমাবে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার, অন্যদিকে বাড়াবে ফলন ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত। বাণিজ্যিকভাবে কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে উৎপাদন খরচও কমে আসবে বলে আশা করছেন গবেষকরা।কৃষি বিভাগ জানায়, রাসায়নিকের পরিবর্তে জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।ফসল উৎপাদনে ক্রমেই বাড়ছে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার। বিষাক্ত এসব বালাইনাশক ক্ষতি করছে মানব স্বাস্থ্য, মাটি, পানি ও পরিবেশের ভারসাম্য। দেশে ব্যবহৃত বালাইনাশকের মধ্যে ছত্রাকনাশকই ৪৬ শতাংশ, কীটনাশক ৩৩ শতাংশ এবং আগাছানাশক ২১ শতাংশ।এই সমস্যার সমাধানে দীর্ঘ ২৪ বছরের গবেষণায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক উদ্ভাবন করেছেন পরিবেশবান্ধব জৈব ছত্রাকনাশক— পি.জি. ট্রাইকোডার্মা। নিজস্ব প্রযুক্তি ও অনুজীব ব্যবহার করে উদ্ভাবিত এই ছত্রাকনাশক ট্রাইকোডার্মা এসপেরেলাম নামক ছত্রাক থেকে তৈরি।বাকৃবির উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহজাহান মঞ্জিল বলেন, এই ছত্রাকনাশক একসাথে ছত্রাকনাশক এবং জৈব সার হিসেবে কাজ করবে। এতে থাকা এনজাইম, উদ্বায়ী যৌগ ও সেকেন্ডারি মেটাবোলাইট উদ্ভিদের রোগ প্রতিরোধ, পুষ্টি এবং বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। কৃষক পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া গেলে কমবে উৎপাদন খরচ, আর ফলন বাড়বে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত।২০০১ সালে শুরু হওয়া এই গবেষণায় যুক্ত ছিলেন আরও অনেক গবেষক।কৃষি বিভাগ বলছে, ফসল উৎপাদনে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের পরিবর্তে কৃষকদের জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।গবেষকরা বলছেন, গবেষণায় বরাদ্দ পেলে ভবিষ্যতে বায়ো-ইনসেক্টিসাইড ও বহুমুখী কার্যক্ষমতা সম্পন্ন জৈব বালাইনাশক উদ্ভাবনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।