• ঢাকা
  • |
  • সোমবার ১লা আষাঢ় ১৪৩২ রাত ০৩:২১:৫৪ (16-Jun-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • সোমবার ১লা আষাঢ় ১৪৩২ রাত ০৩:২১:৫৪ (16-Jun-2025)
  • - ৩৩° সে:

আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বশরীরের নেই কোনো আন্তর্জাতিক বক্তা, সাদামাটা আয়োজন

বুটেক্স প্রতিনিধি: বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) গত ২৪ মে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন টেক্সটাইল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে শিক্ষার্থী ও অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল ফ্যাশন ইনোভেশন ও টেকসই পোশাক উৎপাদন নিয়ে আলোচনা করা।অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার সোসাইটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি-এর সভাপতি অধ্যাপক কিউ হি লি এবং কনকাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুনসিয়োক কোহ।এছাড়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ ফায়েজ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. বি. এম. ওবায়দুল ইসলাম।তবে, এই সম্মেলনে আন্তর্জাতিক বক্তাদের শারীরিক উপস্থিতি ছিল না। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দুইজন অনলাইনে যুক্ত হলেও, সরাসরি আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের অনুপস্থিতি অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছে।আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে আগত এক অংশগ্রহণকারী জানান, আন্তর্জাতিক কনফারেন্স কিন্তু আন্তর্জাতিক মানের মনে হয়নি। সেশনগুলো ভালো হয়েছে, কিন্তু সরাসরি হলে আরও ইন্টারঅ্যাকটিভ হতে পারতো, আমাদের জন্য আরও ভালো হতো। এছাড়া ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টরা যদি থাকতো, তারা ইন্ডাস্ট্রিতে কীভাবে গবেষণা ও উন্নয়ন করছে তা আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারতো। অতিথি ও বিচারকদের ক্ষেত্রে এক্সটার্নাল এক্সপার্টদের আরও উপস্থিতি আশা করেছিলাম।অনুষ্ঠানে নিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবকেরা পর্যাপ্ত নির্দেশনা ও সমন্বয়ের অভাবে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন। তাদের মধ্যে অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ সময়সূচি এবং বিভিন্ন সেগমেন্টের স্থান নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা যায়। অনেক সময় দেখা গিয়েছে বিচারকরা চলে এসেছেন কিন্তু স্বেচ্ছাসেবকেরা পরে এসে উপস্থিত হয়েছেন। এমনকি অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসে প্রচার সামগ্রীর অভাব ও সামাজিক মাধ্যমে তথ্যের ঘাটতি থাকায় তারা অনেকেই অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানতেই পারেননি। স্বেচ্ছাসেবকেরা পর্যাপ্ত নির্দেশনা না পাওয়ায় সেগমেন্ট পরিচালনায় জটিলতা তৈরি হয়।সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী একজন শিক্ষার্থী বলেন, পূর্বের দুই কনফারেন্সের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি এবারের সম্মেলনে আন্তর্জাতিক উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল।তার চেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্টতা খুব কম ছিল। আবার অনুষ্ঠানের সময়সূচি এবং স্থান কিছুটা অস্পষ্ট ছিল, যেমন একটা প্রোগ্রামে আমি অডিটোরিয়ামে গিয়ে বসেছিলাম কিন্তু পরে শুনি ওই সেগমেন্ট আরেক জায়গায় হচ্ছে। যারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন, তারাও সম্পূর্ণ অবগত ছিলেন না। এছাড়া এবারের সম্মেলনে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা দেখা গিয়েছিল, যা আন্তর্জাতিক মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।সম্মেলনের পরিচালনা কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান খান বলেন, এই ধরনের ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে আমরা প্রথম। যেহেতু আমাদের ফ্যাকাল্টির প্রথমবার আয়োজন, তাই নানা প্রতিবন্ধকতা পার করতে হয়েছে। সামনে অন্য ফ্যাকাল্টি আয়োজন করবে, আশা করি আরও ভালো করে আয়োজন করবে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে আমরা চেষ্টা করেছি, সর্বোচ্চটুকু দেওয়ার চেষ্টা করেছি।উল্লেখ্য, এবারের কনফারেন্সে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৬০টি গবেষণাপত্র জমা পড়ে, যার মধ্যে ৩৬টি পেপার প্রেজেন্টেশনের জন্য বাছাই করা হয়। গত কনফারেন্সে যার সংখ্যা ছিল প্রায় ১০০টি এবং এসব গবেষণাপত্র এসেছিল ১৮টি দেশ থেকে।