• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ১৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩২ সন্ধ্যা ০৭:৩১:৫১ (02-Dec-2025)
  • - ৩৩° সে:
সংবাদ ছবি

একই দিনে গণভোট নিয়ে আপত্তি নেই আট দলের: আব্দুল হালিম

রংপুর ব্যুরো: দেশের স্থিতিশীলতার স্বার্থে একই দিনে গণভোট নিয়ে আট দলের আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।২ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ্ মাঠে আন্দোলনরত সমমনা ৮ দলের ডাকা বিভাগীয় সমাবেশস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।আব্দুল হালিম বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে একই দিনে গণভোটের ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামীসহ আন্দোলনরত সমমনা আট দল সম্মতি দিয়েছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সরকারের জারি করা আদেশের বৈধতা দিতে গণভোট অপরিহার্য। জামায়াতসহ আট দল গণভোট আলাদা দিনে আয়োজনের প্রস্তাব দিলেও দেশের স্থিতিশীলতার স্বার্থে প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে তারা একই দিনে গণভোটের ব্যাপারে রাজি হয়েছে।জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, জাতীয় পার্টির তোষামোদি ভূমিকার কারণেই শেখ হাসিনার ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠা পায়। জাতীয় পার্টির বড় চমক হলো, তারা আওয়ামী লীগকে তুষ্ট করতে করতে ভারতের আজ্ঞাবাহী শেখ হাসিনাকে ১৫ বছর ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছে। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের অগণতান্ত্রিক নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট ব্যাহত হওয়ার পেছনে অন্যতম দায় তাদের।তিনি আরও বলেন, একসময় রংপুরসহ দেশের মানুষের সহানুভূতি ছিল জাতীয় পার্টির প্রতি, কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনার অন্ধভক্তির মাধ্যমে জনগণের আস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে দলটি। এ কারণে আওয়ামী লীগের মতো জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করাও এখন সাধারণ মানুষের গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।রংপুরে বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে মাওলানা হালিম বলেন, সমাবেশ বাস্তবায়নে আট দলের নেতৃবৃন্দ অত্যন্ত আন্তরিকতা ও মনোযোগ দিয়ে কাজ করছেন। আমরা আশা করছি, কয়েক লাখ মানুষের সমাগমে এই সমাবেশ জাতির সামনে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। আমরা এই সমাবেশ থেকে আমাদের পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারকে নতুন বার্তা দিতে চাই।এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দল-মত নির্বিশেষে দেশবাসীর প্রার্থনার মধ্যদিয়ে জাতিগত ঐক্য ও সৌহার্দ্য ফুটে উঠেছে দাবি করে তিনি বলেন, আমরা এমন সম্পর্কই চাই, যেখানে ঐক্য ও সৌহার্দ্য থাকবে। যাতে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশটাকে এগিয়ে নেয়া যায়। বেগম খালেদা জিয়া দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামে তার অবদান তাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।