সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন আব্দুস সালামের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার লম্পট, চরিত্রহীন, দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর, নারী লোভী, মাদকাসক্ত সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. আব্দুস সালামের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও সিভিল সার্জন অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে শত শত নারী ও পুরুষ।৬ অক্টোবর সোমবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোড় মোড়ে “সাতক্ষীরা জেলাবাসীর” ব্যানারে ভূমিহীন সমিতির সভাপতি কওসার আলীর সভাপত্বিতে এবং জেলা নদী, বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।বক্তব্য রাখেন গণ আন্দোলন জোটের আহ্বায়ক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, জেলা ভূমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ গাজী, সহ-সভাপতি শেখ হাফিজুর রহমান, মহিলা সম্পাদিকা নাজমা আক্তার নদী, জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক রেজাউল ইসলাম রেজা, জেলা নদী, বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হোসেন, সদর হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবক শাওন, জেলা তরুণ দলের সাবেক সভাপতি আব্দুর রউফ রাজা এবং জেলা ভূমিহীন সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম রবিউল ইসলাম প্রমুখ।এসময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন- লম্পট, নারী লোভী, দুর্নীতিবাজ ও মাদকাসক্ত সিভিল সার্জন আব্দুস সালাম দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বে অবহেলা, অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি নিয়মিত অফিসে উপস্থিত থাকেন না, নার্সদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন, এমনকি নিজের সরকারি কোয়ার্টারের আয়াকে কুপ্রস্তাব দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন বক্তারা।এই দুর্নীতিবাজ ডা. আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ করে বলা হয় সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও নারী কেলেঙ্কারি অভিযোগে তদন্ত করা হলেও তা ছিল শুধু মাত্র লোক দেখানো। সে সময় তদন্তের দিন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ফেয়ারওয়েল দেওয়া হয় এবং রাজকীয় ভাবে আপ্যায়ন করা হয়। যাহা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করার শামিল বলে মনে করেন সাতক্ষীরার সচেতন মহল।একই সাথে সিভিল সার্জেন অফিসের প্রধান সহকারী দরবেশ বাবা খ্যাত আশিক নেওয়াজ ওরফে মহব্বত আলীর ও অপসারণের দাবি জানানো হয় উক্ত মানববন্ধনে।এদিকে কোনো কারণ ছাড়াই সদর হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবকদের অপসারণ করেছেন এই দুর্নীতিবাজ সিভিল সার্জেন যা জেলা স্বাস্থ্যসেবার পরিবেশকে আরও অস্থির করে তুলেছে। মানববন্ধনে দ্রুত এই দুর্নীতিবাজ ডা. আব্দুস সালামের অপসারণ দাবি জানানো হয়।সিভিল সার্জন মো. আব্দুস সালাম এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যেহেতু প্রকল্প বন্ধ হয় নাই, সেহেতু কারও চাকুরি যায় নাই। আমি যা করেছি সেটা ডিসি সাহেবের নির্দেশে করেছি।