নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমানে যেই অগ্নিসন্ত্রাস, ককটেল বিস্ফোরণ করিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে, তার জনক একজনই বলে জানিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।

১৬ নভেম্বর রোববার মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক তিনি এসব কথা বলেন।


সোহেল তাজ লিখেছেন, মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান রেন্টুর ‘আমার ফাঁসি চাই’ আর ‘অন্তরালের হত্যাকারী প্রধানমন্ত্রী’ বই ২টি পড়লেই অনেক কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে। ইউটিউবে এ অডিও বুক আকারে ফ্রিতেও শুনতে পারবেন। ক্ষমতার কি লোভ- ১ লাখ বেলুন নাকি বাসে আগুন।
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লেখেন, গণহত্যা, গুম/খুন করে, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার বিলুপ্ত করে, দুর্নীতি/লুটপাট করে লক্ষ্য লক্ষ্য কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে, সেই টাকার পাহাড়ে বসে এখন আবার অরাজগতা আর তাণ্ডব সৃষ্টি করছে, নির্বাচন বানচাল করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ ধ্বংস করার লক্ষে।
তিনি লেখেন, আমার আশ্চর্য লাগে যখন চিন্তা করি যে, এত কিছুর পরও এদেরকে আওয়ামী লীগের একটা অংশ কি করে সমর্থন করে- এর মানে একটাই- এরাই ছিল সুবিধাভোগী আর এখন এটার পরিণতি হিসাবে খেসারত দিবে নিরীহ, নিরপরাধ নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০১ সালের নির্বাচনে গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সোহেল তাজ। ২০০৮ সালে একই আসন থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান সোহেল তাজ।
একই বছরের ৩১ মে মন্ত্রিসভা থেকে ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন তিনি। ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেন সোহেল তাজ। তবে প্রক্রিয়াগত ভিত্তিতে এটি তখন গ্রহণ না করা হলে, ৭ জুলাই আবারও পদত্যাগপত্র পেশ করলে তা গৃহীত হয়।
পরে তিনি অভিযোগ করেন, তার পথে ‘নানা রকম বাধা সৃষ্টি’ করা হচ্ছে এবং তার ‘নির্দেশনা অমান্য’ করা হচ্ছে। এসব কারণেই তার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত। এরপর কখনই আর রাজনীতিতে জড়াননি তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available