নিজস্ব প্রতিবেদক: যত্রতত্র শিল্প-কারখানা স্থাপন না করে নির্ধারিত জায়গায় শিল্প স্থাপনের জন্য ক্ষুদ্র ও এসএমই উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

তিনি বলেন, নির্ধারিত জায়গায় শিল্প স্থাপন করলে উদ্যোক্তারা আরও বেশি সুবিধা পাবেন। ব্যবসা পরিচালনা ও শিল্পায়নের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় আমাদের সবার সচেতন থাকতে হবে। শিল্পনগরীগুলোতে থাকা জলাধারগুলোকে দৃষ্টিনন্দনভাবে সংরক্ষণ ও ব্যবহার করতে হবে। শিল্পবর্জ্য যেন জলাধারে প্রবেশ না করে, সে বিষয়ে শিল্প মালিকদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।


৭ ডিসেম্বর রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র ৮ দিনব্যাপী এসএমই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসএমই ফাউন্ডেশন-এর উদ্যোগে আয়োজিত শতভাগ দেশীয় পণ্যের এ মেলা ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এবারের মেলার স্লোগান হচ্ছে- ‘এসএমই শক্তি, দেশের অগ্রগতি’।
শিল্প উপদেষ্টা বলেন, অর্থনীতির চালিকা শক্তি হিসেবে বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের গুরুত্ব অপরিসীম। এসএমই হলো সবচেয়ে শ্রমঘন ও স্বল্পপুঁজি নির্ভর খাত। এ খাতের মাধ্যমে স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগে অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। বর্তমানে আমাদের দেশে প্রায় ৯৯ শতাংশ শিল্পই কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের অন্তর্ভুক্ত। একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের গ্রামীণ জনপদে শহরের সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দিতে জাতীয় এবং স্থানীয়ভাবে টেকসই শিল্পখাতের বিকাশ জরুরি।
তিনি বলেন, দেশের এসএমই খাতকে আরও গতিশীল ও এর উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এসএমই ফাউন্ডেশনকে কাঠামোগতভাবে সুদৃঢ় ও আধুনিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা সময়ের দাবি। এ লক্ষ্যে বাজেট, মানবসম্পদ, গবেষণা সক্ষমতা এবং প্রযুক্তিগত অবকাঠামো বাড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এসএমই উদ্যোক্তা গ্রুপ, ক্লাস্টার ও বিভিন্ন সাব-সেক্টরের উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে স্বল্প সুদে জামানতবিহীন ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। এর ফলে উদ্যোক্তারা প্রতিযোগিতা করতে পারছে ও নতুন বাজার সৃষ্টি করতে সমর্থ হচ্ছে। ফাউন্ডেশনের এ কার্যক্রম আরও জোরদার করে অধিক সংখ্যক উদ্যোক্তাকে এ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
এসএমই পণ্যের রফতানি বাড়াতে নিজস্ব শক্তিশালী ও নতুন বাজার অনুসন্ধানের ওপর গুরুত্বারোপ করে শিল্প উপদেষ্টা বলেন, কোন্ দেশে কোন্ ধরনের পণ্যের বেশি চাহিদা আছে, কোথায় আমাদের পণ্য দিয়ে নতুন সুযোগ তৈরি করা সম্ভব- এসব বিষয়ে নিয়মিত অনুসন্ধান করা জরুরি। নতুন বাজার খুঁজে সেই তথ্যের ভিত্তিতে প্রয়োজন অনুযায়ী উপযোগী পণ্য উৎপাদনের উদ্যোগ নিতে হবে। একই সঙ্গে পণ্যে বৈচিত্র আনা প্রয়োজন, যেন ভিন্ন ভিন্ন বাজারে প্রতিযোগিতা করে আমরা আরও শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available