মাহমুদুন নবী: জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন COP30 শেষ হলো ব্রাজিলের বেলেমে। বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এলেও উন্নত দেশগুলোর আর্থিক সহায়তা ও কার্বন নির্গমন কমানোর বাধ্যবাধকতায় সুস্পষ্ট অগ্রগতি না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী-উন্নত দেশগুলো ফান্ড দেওয়ার কথা বললেও, কোনো সুনির্দিষ্ট কমিটমেন্ট আসেনি, ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য যে ১ কোটি ৩০ লাখ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তার সিদ্ধান্ত ছিল, তা এবারও বাস্তবায়ন হয়নি, তবে কপ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষতি পোষাতে ১ কোটি ২০ লাখ ডলার আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব আমলে নেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে আগামীতে আলোচনা হবে।


বাংলাদেশ প্রতিনিধিরা বিষয়টিকে হতাশা হিসেবে দেখছেন না। তারা ভাবছেন, তারা এবার বৈশ্বিক অভিযোজন ফোরামে যুক্ত হয়েছেন, তাই তাদের জন্য আলোচনার পথ খোলা রয়েছে।
এদিকে ২০৩০ সালের মধ্যে ফসিল ফুয়েল ব্যবহার ৫০% কমানোর বৈশ্বিক অঙ্গীকার গৃহীত হলেও সিদ্ধান্তটি বাধ্যতামূলক নয়-যা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সমালোচনা অব্যাহত। জীবাশ্ম জ্বালানি উত্তোলনকারী রাশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ কমাতে কোনো বাস্তব পদক্ষেপ নেয়নি।
শেষ দিকে ভেনুর মধ্যে আগুন লাগায় শেষ দিনে সব দেশের প্যাভিলিয়ন বন্ধ রাখা হয়। এতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে অনেকটা হতাশা নিয়ে ফিরতে হলো।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল জানিয়েছে- ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, নদীভাঙন ও লবণাক্ততা মোকাবিলায় জলবায়ু অভিযোজন অর্থায়ন দ্রুত ও সরাসরি প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
বিশ্লেষকদের মতে-প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হলে COP30 নতুন আশা তৈরি করবে, না হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশসহ উপকূলীয় ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available